,

স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জিবন যাপন বেসরকারী ডুম তাজুর

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের প্রধান ফটকে প্রবেশ করলেই বামপাশে ছোট্ট একটি ঘর সেখানে বসে থাকেন হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র বেসরকারী ডুম তাজুল ইসলাম তাজু (৫০)। সে শহর তলীর জালালাবাদ গ্রামের মৃত রঙ্গাই মিয়ার পুত্র। গতকাল দুপুরে এ প্রতিনিধির সাথে একান্ত আলাপকালে তাজুল জানান, ৩০ বছর ধরে উস্তাদ মরহুম ছাবু মিয়ার সাথে তার লাশ কাটার হাতেকড়ি। অদ্য পর্যন্ত সে ১০ হাজারেরও বেশী নানা বয়সী লাশের ময়নাতদন্ত করেছে। সে নিজেকে দক্ষ লাশ কাটার কারিগর দাবী করে। সম্প্রতি তার উস্তাদ মারা যাবার পর মর্গে আসা লাশ কাটার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তবে সরকার থেকে তার কোন বেতন বা ভাতা না থাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুব মানবেতর জিবন যাপন করছেন। দীর্ঘদিন লাশ কাটাকে পেশা হিসেবে নেয়ায় আর কোন কাজও জানা নেই তার। এ ব্যাপারে এ প্রতিনিধির সাথে কথা আলাপকালে সে আক্ষেপ করে বলেন, ‘সেদিন লাশ আসে, সেদিন আমার ঘরের চুলায় আগুন জ¦লে। লাশ না আসলে আমার ঘরে আগুন জ¦লে না। তবে আমি লাশ কাটলেও উস্তাদ ছাবু মিয়ার ভাগ তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে যায়। আমার প্রকৃত দায়িত্ব পালন করেও কোন পায়দা হয়না। প্রতিটি লাশে তাদেরকে ৩’শ থেকে শুরু করে ১/২ হাজার টাকা দিতে হয়। এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রথিন্দ্র চন্দ্র দেব জানান, সার্কুলার আসলে আইন অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া হবে। আপাতত ছাবু মারা যাওয়ায় তার সহযোগী তাজু কাজ কররেছন।


     এই বিভাগের আরো খবর