,

বানিয়াচংয়ে ডাকাতি মামলার আসামীর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি

সংবাদদাতা ॥ বানিয়াচংয়ে ডাকাতি মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে বানিয়াচং থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ডাকাত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি প্রদান করেছে। পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর বানিয়াচংয়ের ইকরাম গ্রামের কালা মিয়ার বসত ঘরের গ্রীলের তালা ভাঙ্গিয়া অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে কালা মিয়ার মেয়ের ওড়না দিয়া মুখ ও হাত বাধেঁ এবং বড় মেয়ে তামান্না (১৩) কে সামনের কক্ষে বসাইয়া রেখে একজন ডাকাত কালা মিয়ার পরিবারকে পাহারা দেয়। কালা মিয়ার স্ত্রী নেকলেছ আক্তার (৩৮) কে ডাকাতরা হাতে থাকা ছুরি, শাবল, জিআই পাইপ, লোহার রড দেখাইয়া ধমক দিয়া টাকা পয়সা, স্বর্ণ নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। প্রথম দিকে কালা মিয়ার স্ত্রী টাকা পয়সা দিতে অস্বীকার করলে একজন ডাকাত কালা মিয়ার স্ত্রীর গালে থাপ্পর মারে ভয়ে কালা মিয়ার স্ত্রী আলমারীর চাবি দিয়া দেয়। এ সময় চাবি দিয়ে আলমারী খুলতে দেরী হইলে শাবল দিয়া আলমারীর তালা ভেঙ্গে অনুমান ০৫ (পাঁচ) ভরি স্বর্ণ যার মূল্য ২,৫০,০০০/- টাকা, ধান বিক্রয় ও ব্যবসার নগদ ৮৬,০০০/- টাকা, ০২টি সিম্পনি ব্রান্ডের বাটন মোবাইলসহ ঘরের আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুন্ঠন করিয়া নিয়া যায়। এদিকে এ ডাকাতি ঘটনার খবর পেয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর অিতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মোঃ সেলিম, ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস ও সুজাতপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক, মহিউদ্দিন সুমনসহ পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট এর কানাইঘাট বড়চতুল এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ এর ছেলে ডাকাত এনামুল হক এনাম (৫৫) কে লাখাই থানাধীন পূর্ব ভোল্লা বাজার ্হইতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত আসামীকে জিজ্ঞসাবাদে সে ডাকাতির ঘটনার বিষয়ে গুরুতপূর্ন তথ্য প্রদান করে। বর্ণিত আসামীসহ তাহার সহযোগী অন্যান্য ডাকাতরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ধার পর হইতে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী হাওরে অবস্থান করিয়া উক্ত ঘটনা সংঘটিত করে। ডাকাতির পর তারা পৃথকভাবে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামী এনামুল হক এনামকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করিলে সে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি প্রদান করে ও ডাকাতির কথা স্বীকার করে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জের আউশপাড়ার উজ্জল মিয়া ওরফে সুমন মিয়া (২৬) ও  জৈন্তাপুর থানার নোয়াবাগান ফতেপুর এলাকার আখলিস মিয়া (২৫) কে হবিগঞ্জের আলমপুর বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ডাকাতিকার্যে ব্যবহৃত ১টি ছুড়ি, ১টি মাঙ্কি ক্যাপ, লুন্ঠিত হওয়া রূপার ০১টি আংটি, ১টি মাফলার, ১টি কালো চাঁদর উদ্ধার করা হয়। গতকাল তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ রঞ্জন কুমার সামন্ত’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেফতারসহ বাকি মালামাল উদ্ধারের নিমিত্তে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে বানিয়াচং থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর