,

নবীগঞ্জে প্রবাসী কাদির হত্যাকান্ড মামলায় রুবেল মিয়া গ্রেফতার

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হোসেনপুর গ্রামের প্রবাসী আব্দুল কাদির (৩৫) হত্যা মামলায় রুবেল মিয়া নামের এক সন্ধিদ্ধ যুবককে গ্রেফতার করেছে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ। গত সোমবার দিবাগত রাতে দুলর্ভপুর গ্রামের একটি দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত রুবেল মিয়া ওই গ্রামের মৃত ছেমেদ আলীর পুত্র। চলতি বছরের গত ৩রা এপ্রিল বুধবার সকালে গোয়াল ঘরের পাশে বারান্দা রোম থেকে প্রবাসী কাদিরের মৃত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। মৃত আব্দুল কাদির ওই গ্রামের মৃত আমীর উদ্দিনের ছেলে। সে দীর্ঘদিন কুয়েত, লন্ডন ও দুবাই অবস্থান করে প্রায় ১ বছর পুর্বে বাড়ীতে আসে। তার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ প্রতিপক্ষ লোকজন পরিকল্পিতভাবে বালিশ চাপা দিয়ে শ^াসরোদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই আবুল হাসান বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েক জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার চলমান তদন্তে, মোবাইল কল লিষ্টের সুত্রধরে বিগত ১৭ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই গ্রামের ফুলেছা বেগম নামে কথিত প্রেমিকা’কে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ফুলেছা বেগমের অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ সৃষ্টি হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেন। পুলিশ সুত্রে জানাযায়, ফুলেছা বেগমের সাথে মৃত আব্দুল কাদিরের গভীর সম্পর্ক ছিল। গত মাসের কল লিষ্ট অনুযায়ী অসংখ্যবার তাদের সাথে ফোনালাপ হয়েছে। এমনকি সর্বশেষ আব্দুল কাদির মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে ফুলেছা বেগমের সাথে কাদিরের ফোনালাপ হয়। এদিকে কতিথ প্রেমিকা ফুলেছা বেগম গ্রেফতারে এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি এসেছে। তৎকালীন সময়ে উক্ত ফুলেছা বেগমকে নিয়ে এলাকায় নানা রসালো আলাচনা স”ষ্টি হয়েছিল। রয়েছে নানা অভিযোগ ও অজানা কাহিনী। অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ, একই গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে সফিক মিয়া গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে আব্দুল কাদির পরিবারের। তাদের মধ্যে একাধিক মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে। এরজের ধরে প্রতিপক্ষ লোকজন বিগত বুধবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে সকাল ৬ ঘটিকার মধ্যে কোন এক সময় তাকে পরিকল্পিতভাবে শ^াসরোদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। আলোচিত মামলাটি বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার ডিবি পুলিশ হবিগঞ্জকে মামলার তদন্তভার অর্পন করেন। নবীগঞ্জ থানা থেকে মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তরের পর মাঠে নামে ডিবি পুলিশ। ঘটনার তদন্তে গত সোমবার রাতে কথিত প্রেমিকা ফুলেছার ভাই রুবেল মিয়াকে আটক করে ডিবি অফিসে নিয়ে যায়। ঘটনার বিষয়ে জিঙ্গাসাবাদ শেষে রুবেল মিয়াকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান ডিবির তদন্ত কর্মকর্তা। এদিকে মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।


     এই বিভাগের আরো খবর