,

আরবের পরিচিত পাখি হুদহুদের নামে ঘূর্ণিঝড়

ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’ আতঙ্কে এখন ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশ। সেই সুবাদে নামটি এখন মুখেমুখে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের আবহাওয়াবিদদের সুপারিশে ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘হুদহুদ’। আরব জাহানের অতি পরিচিত পাখি এই হুদহুদ। চোখ জুড়ানোর মতো সুন্দর ও বেশ উপকারী এই পাখিটি আমাদের দেশেও অপরিচিত নয়।

বাংলাদেশের মানুষ ‘মোহনচূড়া’ নামে একে চেনে। তবে আরব দুনিয়া এবং সংলগ্ন প্রতিটি দেশের মানুষই হুদহুদ নামে চেনে তাদের অতিপরিচিত পাখিটিকে। কোনো কোনো দেশের জাতীয় পাখিও এটি। পবিত্র কুরআনের সূরা নামলের ২০ থেকে ৩১ নম্বর আয়াতে হযরত সুলাইমানের (আ.) সংবাদ সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে হুদহুদ পাখির উল্লেখ রয়েছে।

ভারত মহাসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত আটটি দেশ পর্যায়ক্রমে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে। সেই নিয়মে এবার ওমান তাদের অতিপরিচিত এই পাখির নমেই আসন্ন ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছে। এ কারণে অতিনিরীহ ও আদরের এই পাখিটিই এখন হয়ে উঠেছে আতঙ্কের নাম। তবে পাখিটি ডাকার সময় যে বিকট আওয়াজ হয় তা বোঝাতেই সম্ভবত ঘূর্ণিঝড়ের এই নামকরণ করা হয়েছে।

উপুপিড়ি গোষ্ঠীর একমাত্র প্রতিনিধি এই পাখিটি শুধু ওমান নয়, মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশ এবং আফ্রিকার মিসর, শাদ, মাদাগাস্কার, এমনকি ইউরোপের কিছু দেশ, এশিয়ার ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশেও অতিপরিচিত। তবে নামকরণে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। ইংরেজিতে একে হুপো বা হুপি বলে ডাকা হয়। আরবির মতো উর্দুতেও একে হুদহুদ বলা হয়।

ইউরেশিয়া এলাকার এই পাখিটি ‘ওল্ড ওয়ার্ল্ড বার্ড’ বলে পরিচিত। শুষ্ক এলাকায় এই স্থায়ী বাসিন্দা মরুভূমি-সংলগ্ন এলাকায় থাকতে অত্যন্ত ভালোবাসে। পাখিবিশারদদের কথায়, মাঠে মাটিতে ঠোঁট ঢুকিয়ে পোকা খেয়ে চাষাবাদের খুব উপকার করে। তাই এটি চাষীদের কাছে অতি উপকারী পাখি হিসেবে বিবেচিত। অন্য একটি মহলের দাবি, কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আভাস পেলে ওই পাখি নিজের মাথার উপরে থাকা ঝুঁটিটি মেলে ধরে সতর্ক করে দেয় চাষীদের। তাই কৃষক সম্প্রদায়ের কাছে এই পাখিটি অতি প্রিয়।


     এই বিভাগের আরো খবর