,

নবীগঞ্জে ২দিনে ৩টি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার

সংবাদদাতা ॥ দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃজেলা চোর চক্র ও মোটর সাইকেল পাচারকারী সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দিন দুপুরে সুযোগ সন্ধানী মোটর সাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা সুযোগ খোঁজছে তারা মোটর সাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহন চুরি করে দেশের বিভিন্নœ স্থানে পাচার ও বিক্রি করছে তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। গত শুক্রবার এই চক্রের সদস্যরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি কিবরিয়া চত্তরে তাদের এজেন্ট ছোটন মিয়া নামের এক মোটর সাইকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ মালিকের নিকট ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রয়ের জন্য নিয়ে আসে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের সাথে কথা বার্তার একপর্যায়ে ৩টি মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় সুচতুর চোরেরা, তবে ২টি চোরাই মোটর সাইকেল আটক করে স্থানীয় জনতা থানা পুলিশকে খবর দিলে আটককৃত দুটি’ চোরাই মোটর সাইকেল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আউশকান্দি কিবরিয়া চত্বরে জাকারিয়া নামের আরেক ওয়ার্কসপ মালিকের কাছ থেকে আরেকটি ডিসকভার মোটর সাইকেলসহ ২দিনে মোট ৩টি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করে স্থানীয় জনতা পুলিশে হস্তান্তর করেন। জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাহুবল উপজেলার পুটিজুড়ি এলাকার যাদবপুর গ্রামের মৃত আনসার মিয়ার পুত্র সেলিম মিয়া (৩৮) নামের মোটর সাইকেল চোরাই চত্রের গডফাদার তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ৫টি মোটর সাইকেল বিক্রির জন্য তাদের অন্য সদস্য আউশকান্দি কিবরিয়া চত্তরে মোটর সাইকেল ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী ছুটন মিয়ার দোকানে নিয়ে আসে। এর মধ্যে ৫টি মোটর সাইকেল-ই দামী ব্যান্ডের হোন্ডা, পালসার, ইয়ামাহা, ডিসকবার, আর ওয়ান ৫ সহ লাখ লাখ টাকা মূল্যের মোটর সাইকেল। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে প্রায়ই দেখতে পান ওই ওয়াকসপ থেকে মোটর সাইকেল ক্রয় বিক্রয় করতে। উল্লেখিত সময়েও তাদের খদ্দেরদের সাথে ওয়ার্কসপ ব্যবাসায়ী ছোটনের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয়ের চুপি চুপি আলাপকালে এতে সচেতন লোকজনের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে মোটর সাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা পাচারকারী সেলিমকে তার নাম ঠিকানা জানতে চাইলে, তার সন্দেহজনক আচরণ ও কথাবার্তায় মিল না পাওয়াতে তাকে আটক করার চেষ্টা করে সুচতুর সেলিম সহ তার অন্যান্য সদস্যরা ২টি মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে তাৎক্ষনিক ২টি মোটর সাইকেল আটক করতে সক্ষম হন জনতা। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার খালেদ আহমদ জজ এর মাধ্যমে নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ১টি হোন্ডা কোম্পানির মোটর সাইকেল ও একটি ডিসকাভার মোটর সাইকেল জব্দ করে থানায় নিযে যায়। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এক জনৈক শ্রমিক নেতা আসাব আলী ও ফয়ছল আহমেদ নামের দুই ব্যক্তি ঐ কিবরিয়া চত্বরের অপর ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী জাকারিয়ার দোকানে আরেকটি ডিসকভার মোটর সাইকেল দেখতে পেয়ে মালিকের নাম জানতে চাইলে সে স্বীক্ষার করে এই মোটর সাইকেলের মালিকও পুটিজুরীর সেই আলোচিত সেলিম। এ সময় তাদের মাধ্যমে নবীগঞ্জ থানার ওসি অপারেশন আমিনুল ইসলামকে খবর দিলে এই মোটর সাইকেলটিও তিনি জব্ধ করে থানায় নিয়ে আসেন। এনিয়ে মোট ৩টি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করে থানা হস্থান্তর করে স্থানীয় জনতা। এ ঘটনার পরপরই আন্তজেলা মোটর সাইকেল চোরাই চক্রের কথিত মালিক সেলিম মিয়া, সে স্থানীয় একজন সাংবাদিকের মোবাইলে ফোন করে জানায সে একজন মোটর সাইকেল ব্যবসায়ী। আটককৃত দুটি মোটর সাইকেলের বৈধ কাগজ পত্র তার কাছে আছে, একথা বলেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। তবে এই চক্রের আউশকান্দি এলাকার অন্যান্য সদস্য মোটর সাইকেল ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী ছোটন মিয়া, জাকারিয়া, লিটন, মিয়া ও আউশকান্দি এলাকার এমরান দক্ষিণ দৌলত পুর গ্রামের মৃত আছদ্দরের ছেলে বদরুল মিয়া নামের যুবকসহ আরো অনেকই এই ঘটনার সাথে জড়িত আছেন মর্মে প্রাথমিক ভাবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি অপারেশন আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোটর সাইকেল উদ্ধার হয়েছে বলে স্বীকার করে বলেন, চোরাই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর