,

হবিগঞ্জে ফুলসজ্জা থেকে প্রেমিক যুগল আটক

জুয়েল চৌধুরী ॥ পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ঘর বাঁধতে পারল না প্রেমিক যুগল। পুলিশের হাতে বাসর ঘরের ফুলসজ্জা থেকে আটক হয়ে প্রেমিকের ঠিকানা কারাগারে ও প্রেমিকার ঠিকানা হলো হাসপাতালে। এ ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতাশনি গ্রামে। জানা যায়, ঐ গ্রামের ইউনুস আলীর পুত্র শাকিল মিয়া (২০) এর সাথে ৩ মাস ধরে পাশর্^বর্তী শরীফপুর গ্রামের আরজত আলীর কন্যা ঝর্না আক্তার (১৭) প্রায়ই তারা সকলের অগোচরে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যেত। বিষয়টি ঝর্নার পিতা আচ করতে পেরে ঝর্ণাকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেন। তারপরও থেমে থাকেনি তাদের প্রেম। শত বাঁধা উপেক্ষা করে তাদের ভালবাসার প্রতিদান দিতে গিয়ে ঘর বাঁধার আসায় সম্প্রতি অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় এবং কোর্টে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে। গত মঙ্গলবার শাকিলের বাড়িতে ফুল সজ্জা থেকে এসআই জুয়েল সরকারসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ঝর্ণার পিতা আরজত আলী বাদী হয়ে শাকিলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঝর্ণাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শাকিল এ প্রতিনিধিকে জানায়, প্রেম ভালবাসা কোন অপরাধ নয়, আমার উপর যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা একজন আরেকজনকে মনে প্রাণে ভালবাসি এবং কোর্টে বিয়ে করেছি। পুলিশ আমাদেরকে বাসরঘর থেকে ধরে নিয়ে এসেছে। তবে অসুবিধা নেই প্রেমের প্রতিদান দিতে গিয়ে প্রেম কয়েদি হয়েছি। তবু আমার ঝর্ণা সুখে থাকুক ভাল থাকুক এটাই আমি চাই। এদিকে ঝর্ণা জানায়, প্রেমের সম্পর্ক ছিল সত্য। কিন্তু পারিবারিকভাবে আমরা বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার পরিবার মেনে নেয়নি। ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, পিতার মামলায় শাকিলকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ভিকটিমকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসবে।


     এই বিভাগের আরো খবর