,

রেমা-কালেঙ্গা বনে শকুন ও বাজপাখি অবমুক্ত

সংবাদদাতা ॥ প্রকৃতির ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ হিসেবে শকুনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। তাই দেশের বৃহত্তম দ্বিতীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে বিলপ্ত প্রজাতির বাংলা শকুন ও বাজপাখি অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যে গভীর বনে বাজপাখি অবমুক্ত করেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান। এদিকে ওইদিন বিকালে কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন ও বিট কর্মকর্তা স্থানীয় সি.এম.সি এবং সি.পি,জি সদস্যদের নিয়ে রেমা ময়নাবিল এলাকায় বাংলা শকুনটি অবমুক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তারেক মোঃ জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অমিতাভ পরাগ তালুকদার, চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সত্যজিত রায় দাস, হবিগঞ্জ জেলার সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মারুফ হোসেন, কালেঙ্গা রেঞ্জ অফিসার মোঃ আলাউদ্দিন, বন বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারী বৃন্দ, সাংবাদিক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রসঙ্গ, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেন সিলেট টিলাঘর ইকোপার্ক থেকে পাখি দুটি প্রদান করেন কালেঙ্গা রেঞ্জে। পরে বাংলাদেশের একমাত্র ‘শকুন নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র’ রেমা ময়নাবিল এলাকায় বাংলা শকুনটি অবমুক্ত করা এবং বাজপাখি কালেঙ্গা গভীর বনাঞ্চচলের ভিতরে অবমুক্ত করা হয়। উল্লেখ্য, বেশির ভাগ মানুষের কাছে শকুন অমঙ্গলের প্রতীক হলেও পরিবেশবিদেরা বহু আগেই এই পাখিকে প্রকৃতির ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মৃত প্রাণীর মাংস খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে শকুন। অন্তত ৪০টি রোগের ঝুঁকি থেকে মানুষকে রক্ষা করা এই পাখি বাংলাদেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরকারের তিনটি সিদ্ধান্ত এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএনের উদ্যোগে সেই পরিস্থিতি গত কয়েক বছরে অনেকটাই বদলে গেছে। দেশের আকাশে আবার শকুনের দল ফিরতে কিছুটা শুরু করেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর