,

হবিগঞ্জের সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিবাদ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ দেশের সাংবাদিক জগতের আইকন মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের ডিজিটাল আইনে দায়ের করা মিথ্যে মামলার প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন হবিগঞ্জে সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানান। হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব আয়োজিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি ইসমাইল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মোহাম্মদ শাহজাহান, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের জেলা সভাপতি আবু মোতালেব খান লেবু, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাবেক জেলা সভাপতি কমরেড পিযুষ চক্রবর্তী, তৈল, গ্যাস রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরী শিবলী, জেলা বাসদের সমন্বয়ক এড. জুনায়েদ আহমদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক আশরাফ আলী খান বাচ্চু, হবিগঞ্জ বাপা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, ক্রীড়া সংগঠক হুমাছুন খান, খোয়াই থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন খা প্রমুখ। সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন. হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান, মোহাম্মদ নাহিজ ও শোয়েব চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক মিলন রশীদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার রাশেদ আহমদ খান, জেলা সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সহ-সভাপতি অপু চৌধুরী, বাহুবল মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি নুরুল ইসলাম নূর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ শেখ, এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি আব্দুল হালীম, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি নুরুজ্জামান শওকত, নিউজ টুয়েন্টিফোর টিভির জেলা প্রতিনিধি শ্রীকান্ত গোপ, চুনারুঘাট রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি নুরুল আমীন, বানিয়াচং প্রেসক্লাব সদস্য শিব্বির আহমেদ আরজু, মাধবপুর প্রেসক্লাব দপ্তর সম্পাদক রাজীব দেব রায় রাজু, আজমিরীগঞ্জ প্রেসক্লাব সদস্য আমির হামজাসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এছাড়া এ মামলার প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চলছে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ। বক্তারা বলেন, মতিউর রহমান চৌধুরী বাংলাদেধের সাংবাদিকতা জগতের দিকপাল। তিনি ব্যক্তি নন, তিনি একটি ইনস্টিটিউট বলে খ্যাত। দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের আদর্শবান সাংবাদিক হিসেবে তার রয়েছে সুখ্যাতি। হবিগঞ্জের কৃতিসন্তান এ প্রথিতযশা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তার আইনগত কোন ভিত্তি নাই। মামলার বাদী একজন আইন প্রণেতা হয়েও ক্ষমতার অপব্যবহার করে হয়রাণীর উদ্দেশ্যে এ ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেছেন। ক্ষমতাসীন দলের বহিস্কৃত নেত্রী পাপিয়ার কুকর্ম নিয়ে সাহসী নিউজ করা হয়েছিল মানবজমিন পত্রিকায়। তবে এ নিউজের কোথাও মামলার বাদী এমপি শিখরের নাম উল্ল্যেখ নাই। তারপরও তিনি পাপিয়ার পাপ নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে আলোচিত ডিজিটাল আইনে এ মামলা দায়ের করেছেন। তারা বলেন, মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা অবিলম্বে প্রত্যহার করতে হবে। নইলে সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবে। তখন পাপিয়াসহ সকল পাপীদের লুকিয়ে থাকা থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।


     এই বিভাগের আরো খবর