,

নবীগঞ্জ কলেজে ‘সাজেশন’ বিক্রি করেন এক শিক্ষক!

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজে প্রকাশ্যে চলছে ‘সাজেশন’ বাণিজ্য! এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। ‘পড়লেই পাস, নিশ্চিত কমন, ১০০ তে ১০০’ এমন মন ভোলানো নানান কথা বলে শিক্ষার্থীদের অনেকটা ‘বাধ্য’ করেই সমাজ-বিজ্ঞান বিষয়ের একজন শিক্ষক ২শ টাকা করে দেদারসে বিক্রি করছেন ‘সাজেশন’। এসব দেখার যেন কেউ নেই। এ নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীরা ক্ষোব্দ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন। শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নবীগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের সমাজ-বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মোঃ ময়ীলুন ইসলাম জাকির শিক্ষার্থীদের কাছে অনার্সের ‘সাজেশন’ বিক্রি করে ২ শ টাকা করে হাতিয়ে নেন। কলেজ প্রাঙ্গনে প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে ‘সাজেশন’ বিক্রির মতো অপরাধ জনিত এমন কাণ্ড করলেও কেউই যেন দেখার নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমাজ-বিজ্ঞান বিষয়ের অনেক শিক্ষার্থী জানান, ‘মোঃ ময়ীলুন ইসলাম জাকির স্যার কলেজে আমাদেরকে বলেন এই সাজেশন ‘পড়লেই পাস, ১০০ র মধ্যে ১০০ নিশ্চিত কমন পড়বে’ এসব কথা বলে আমাদের কাছে সাজেশন বিক্রি করেন। এই সাজেশন না পড়লে আমরা পাস করতে পারবো না বলেও স্যার বলেন। ভয়ে আমরা ২শ টাকা দিয়ে সাজেশন কিনতে বাধ্য হই। এছাড়া স্যার আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২শ টাকা আগে নিয়েই তালিকা করে রেখেছেন। ইশতিয়াক মোহাম্মদ আপন নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন- ‘গত ১৬ তারিখ সোমবার অনার্স এর ছাত্র ছাত্রীদের ইনকোর্স পরীক্ষা চলছে, পরীক্ষা শেষে আমাদের কলেজের নতুন বিল্ডিং এর ২য় তলায় গেলাম, গিয়ে দেখলাম সমাজ-বিজ্ঞান সাবজেক্টের একজন শিক ২০০/- টাকা করে সার্জেশন বিক্রি করছেন। আমি অবাক হলাম দেখে! আমি ওনার পাশে গিয়ে বললাম যে ‘স্যার কি দেয়া হ”েছ এখনে? ওনি বললেন সমাজ বিজ্ঞানের সাজেশন দেয়া হচ্ছে।’ পরে তিনি অধ্যক্ষকে জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষক মোঃ ময়ীলুন ইসলাম জাকির জানান ‘প্রথমে ২/১ টা শিক্ষার্থীদের কাছে দেয়ার পর, যখন দেখলাম বিষয়টা অন্যদিকে চলে যাচ্ছে পরে বন্ধ করে দিছি।’ এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন বলেন, ‘সাজেশন বিক্রি করা নিষিদ্ধ। যদি কোন শিক্ষক কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাজেশন বিক্রি করে থাকেন খোঁজ খবর দিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন ‘কোন শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে সাজেশন বিক্রির কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তিনি অবগত নয়, খোঁজ খবর নিয়ে দেখছেন বলেও জানান।’


     এই বিভাগের আরো খবর