,

মিরপুরের বুধনের খুঁটির জোর কোথায়?

জুয়েল চৌধুরী ॥ বাহুবল উপজেলার মিরপুরের পেট্রোল পাম্পের বিপরীতে শাহজালাল অটোমোবাইলস এর ব্যবসার আড়ালে চলছে অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ঐ ব্যবসার মালিক হকার থেকে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। এ যেন আলাদিনের চেরাগ হাতের মধ্যে। স্থানীয়রা জানান, মিরপুর আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মৃত খয়রুল মিয়ার পুত্র আবিদ আলী বুধন এক সময় ফেরি করে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করত। কিন্তু আজ কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে যাওয়ায় অনেকের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা আরো জানান, অটো মোবাইলসের ব্যবসার পেছনে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা। চলছে দেদারছে জুয়া। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত নানা বয়সী জুয়ারীরা এসে যোগ দেয় সেখানে। সন্ধা থেকে শুরু হয়ে ভোর রাত পর্যন্ত চলে এ জুয়ার আসর। রাত শেষে পুরনোরা বাসায় ফিরে আর নতুনরা এসে আসর জমায়। এদের সবার পরিচয় একটাই ‘সবাই জুয়ারী’ রাতভর চলে লাখ-লাখ টাকার লেনদেন। জানা যায়, মাঝে-মাঝে ওই স্থানে পুলিশের অভিযান হলেও আগে থেকে খবর পেয়ে সটকে পড়ে জুয়ারীরা। তাছাড়া ইতোমধ্যে সে বিআরটিএ’র কর্মকর্তাকে দিয়ে ২৪শ সিএনজি রেজিস্টেশন করে রেখেছে। যা সরকারী ফি এর চেয়ে তিনগুন ফি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আদায় করে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওই এলাকার ব্যবসায়ী জানান, মধ্যরাতে প্রাইভেট কার দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জুয়ারীরা আসে এখানে। মাঝে-মাঝে সুন্দরী নারীদেরও আগমন ঘটে। তবে আমরা স্থানীয়রা এর অনেক প্রতিবাদ করেছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি প্রশাসনে। কিন্তু সে খুবই চালাক লোক, নিয়মিত মাসোহারা দেয় কতিপয় অসাধু প্রশাসনকে। তাই থেকে যায় বরাবরের মতোই ধরাছোয়ার বাহিরে। সে অনেক সাধারণ মানুষকে কিস্তির উপর সিএনজি অটোরিক্সা দেয় এবং ব্ল্যাংক চেকে স্বাক্ষর নেয়। যদি কিস্তি দিতে দেরি হয় তাহলে ইচ্ছামাফিক চেকে টাকা বসিয়ে কোর্টে মামলা করে মানুষের কাছ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়, নতুবা কিস্তি দেয়া সিএনজিটি ফিরিয়ে নেয়। আবার কারো কাছ থেকে গরু ছাগল ও স্বর্ণালংকারও নেয় বলে এমনও অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা। তার কাছে প্রায় ১শ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। যা ঘরের কোথাও মাটির নিচে লুকিয়ে রেখেছে।
এ ব্যাপারে আবিদ আলী বোধনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। বলেন আমাকে নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
বাহুবল থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান জানান, আবিদ আলী বোধনকে আমি ছিনি। কিছুদিন আগে একটি মারামারি মামলায় থানায় এসেছিল। তবে তার এসব কার্যকলাপ আমি জানি না। তার ব্যপারে খোজ খবর নেয়া হবে। যদি সে, এসব করে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর