,

করোনা সচেতনতায় সকাল-সন্ধ্যা ছুটছেন এমপি আবু জাহির

স্টাফ রিপোর্টার : সবাই ঘরে থাকুন, নিরাপদ জীবনযাপন করুন। নিজে পরিষ্কার থাকুন, অন্যকে পরিষ্কার থাকতে উৎসাহী করুন। অন্তত ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে থাকুন করোনামুক্ত। এই ব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিকল্প নেই।
গাড়ি থেকে মাইকিং, পায়ে হেটে সচেতনতামূলক প্রচারণা, আবার কখনো সরকারি সহায়তা বিতরণের ফাঁকে এভাবেই এলাকাবাসীকে করোনা ভাইরাস মোকবিলার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। শুধু শহরই নয়, নির্বাচনী এলাকার গ্রামে গ্রামে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ছুটে চলছেন তিনি।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া, নিজামপুর ও পইল ইউনিয়ন এবং পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা করেন আবু জাহির। পাশাপাশি কর্মহীন মানুষদের হাতে পৌছে দেন সরকারি সহায়তার খাদ্য সামগ্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ মিজানুর রহমান, হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ নূরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চাল, ডাল এবং আলুসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন তিনি। বিতরণের দৃশ্যও ছিল অনুকরণীয়। প্রতিটি উপকারভোগীকেই একে অন্যের থেকে রাখা হচ্ছে অন্তত ৩ মিটার দূরত্বে। খাবার তুলে দেয়ার সময় আবু জাহির বলেন, সরকার কর্মহীন শ্রমজীবীদের পাশে আছে এবং থাকবে। খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। দেশে যথেষ্ট খাদ্য মুজদ আছে। দফায় দফায় অস্বচ্ছলদের হাতে এসব পৌছে দেয়া হবে। তাই সকলেই ঘরে থাকুন। নিজে সুস্থ থাকুন এবং দেশবাসীকে করোনা নামক এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে সহায়তা করুন।
আবু জাহির এমপি বলেন, প্রশাসনের লোকজন সচেতনতায় নিয়োজিত রয়েছেন। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিষয়ে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। তাই এলাকাবাসীর ভোট নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সকলকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করছি। যাতে কাউকে শাস্তির সম্মুখীন হতে না হয়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অস্বচ্ছলদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জের নয়টি উপজেলায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৫৯০টি পরিবারের মধ্যে চাল, আলু, ডাল ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯০০ কেজি চাল, ১৯ হাজার ২০ কেজি আলু ও ৯ হাজার ৮৪০ কেজি ডাল। এছাড়া নগদ ৬ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে ৮ হাজার ৭৬০টি পরিবারের মধ্যে। অন্যদিকে হবিগঞ্জে করোনা চিকিৎসার জন্য সরকারি পর্যায়ে ১৩৫টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই কাজে ৫২ জন ডাক্তার ও ৫৬ জন নার্স নিয়োজিত থাকবেন। ২১০৫টি পিপিই পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ১১৮০টি ডাক্তার ও নার্সদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর