,

কৃষি শ্রমিক সংকট পাকা ধান নিয়ে অনিশ্চয়তায় বানিয়াচংয়ের কৃষক

সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার হাওরের বোরো ধান পেকে আছে।
মাইলের পর মাইল পাকা ধানের ক্ষেত। কৃষকের চোখে স্বপ্নের বদলে দুঃস্বপ্ন আর অনিশ্চয়তা বাসা বেধেছে।
শ্রমিক সংকটের কারনে জমির পাকা ধান গোলায় তুলতে পারবে কিনা, সেই দুঃশ্চিন্তায় হাওরের কৃষককূলের দুচোখে এখন ঘুম নেই।
প্রতি বছরই চৈত্রের শেষে এবং বৈশাখের শুরুতে বোরো ধান কাটার জন্য এই সময়ে পাবনা,সিরাজগঞ্জ সহ উত্তর বঙ্গের কয়েকটি জেলার মানুষ বানিয়াচংয়ের হাওরগুলোতে আসেন।
চলতি বছরে করোনা ভাইরাসের কারনে ঐ সমস্ত জেলার ধান কাটা শ্রমিকগন লকডাউন ও সরকারী বিভিন্ন বিধি নিষেধের বেড়াজালে আটকে পড়েছেন।
পাবনা সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রমিকরা নৌকায় করে বানিয়াচং আসতে গিয়েও বিভিন্ন পুলিশি চেকপোস্টে আটকে পড়েছেন।
সড়ক পথে‘তো সম্ভবই না।
এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী‘র ঘোষনায় হাওরের কৃষকগন আশার আলো দেখলেও শ্রমিকরা ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস হারিয়ে ফেলছেন।
এর অন্যতম কারন হলো পুলিশি চেকপোস্ট আটক ও পরিবহন সংকট।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের শ্রমিক সর্দার আব্দুর রহিম মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, পুলিশের ভয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছিনা। এছাড়া ও পরিবহন সংকটের কারনে জায়গামত পৌছতে পারব কিনা সে বিষয়ে ও দুঃশ্চিন্তা রয়েছে।
এ ব্যাপারে একটি মাত্র নৌকা নিয়ে আসতে পেরেছেন শাহজাদপুরের শ্রমিক সর্দার সানোয়ার হোসেন তিনি জানান, আমাদের তিনটি নৌকায় তিনটি দল ছিল, ভৈরব থেকে দুটি নৌকা ফেরত গিয়েছে। এখন তারা আসতে পারবে কিনা আমি জানিনা।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলার বড়নগড় গ্রামের কৃষক সুদর্শন সরকার জানান, আমার ৭০একর জমি রয়েছে। সিরাজগঞ্জ থেকে যদি শ্রমিকরা না আসেন তাহলে জমির ধান কাটাতে পারব না। জমিতে পাকা ধান নিয়ে খুবই দুঃশ্চিন্তায় আছি।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলার ১৫নং পৈলারকান্দি ইউনিয়নের বিথঙ্গল গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, ২৫একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন।
হবিগঞ্জ জেলারই চুনারুঘাট ও হবিগঞ্জ সদরের ধর্মঘর এলাকা থেকে ৪০জন শ্রমিক পুলিশের ভয়ে আসতেছেন না।
হাবিবুর রহমান আরও জানান, তার এলাকার বোরো জমি খুবই নিম্ন অঞ্চলে হওয়ায় অতিবৃষ্টি ও আকষ্মিক পাহাড়ী ঢলের ভয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি, রাতে ঘুম আসেনা।


     এই বিভাগের আরো খবর