,

নবীগঞ্জে করোনা আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন

মতিউর রহমান মুন্না : নবীগঞ্জ উপজেলায় একদিনেই নারায়ণগঞ্জ ফেরত ৫ গার্মেন্টস কর্মী ও ১ জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনা রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবরে আতংক বিরাজ করছে পুরো উপজেলায়। ইতি মধ্যে আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই পুরো উপজেলা লকডাউন করার দাবি তুলেছেন বিভিন্ন মহল।
নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল ১মে (শুক্রবার) দুপুরে নারায়নগঞ্জ ফেরত ৫ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জনই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানার শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ২৬ এপ্রিল তারা বাড়ি আসেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জনই পুরুষ। গতকাল ১মে (শুক্রবার) রাতেই উপজেলার ১ নং বড় ভাকৈর (পশ্চিম ) ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের ৩ জন, একই গ্রামের ৩ বাড়ির ৩ জন রোগী হওয়ায় ৩ বাড়িকে লকডাউনের পাশাপাশি পুরো গ্রাম করোনা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন মর্মে সতর্ক হয়ে চলাচলের জন্য গ্রামবাসীকে পরামর্শ দেন প্রশাসন। একই ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের ১জনের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া করগাঁও ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের ১জন রোগী নারায়ণগঞ্জ থেকে আসার পর থাকে স্থানীয় প্রাইমারী স্কুল হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। তাই তার বাড়ি লকডাউন করা হয়নি। এদিকে শুক্রবার রাতে এক স্বাস্থ্য কর্মীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরে শনিবার সকালে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে ওই স্বাস্থ্য কর্মীর বাড়ি লকডাউন করা হয়। প্রত্যেকটি বাড়িতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জের স্বাস্থ্য ও পঃপঃ  কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ বলেন, করোনা  আক্রান্ত ৬ জনকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা  হাসপাতালে আইসোলেশনে সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, করোনা আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত মোট ৬ জনের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি সোনাপুর গ্রামের হওয়ায় এই এলাকার মানুষদের এলাকা থেকে বের হওয়া ও  ভিতরে প্রবেশের ব্যাপারে খুবই সর্তক  থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত সবার বয়স ২০ থেকে ৩০ মধ্যে বলে তিনি জানান। এছাড়া আক্রান্ত পরিবারগুলোকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর