স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের গোসাই বাজার জামে মসজিদের ইমাম পরিবর্তন নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ লাল মিয়া ও তার ছেলে মোঃ আব্দুল কাইয়ূমকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।  গত রবিবার (১০মে) বিকাল ২ টার দিকে স্থানীয় গোসাই বাজারে এ ঘটনা ঘটে।  জানা যায়,বাহুবল উপজেলার খড়িয়া গ্রামের লাল মিয়া দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় গোসাই বাজার জামে মসজিদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ইদানিং প্রতিবেশি আব্দুল কদ্দুছ এর সাথে মসজিদের ইমাম পরিবর্তন নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।এক পর্যায়ে গত রবিবার (১০ই) মে সকালে ইমাম সাহেব চলে যান। বিকাল ২টার দিকে মসজিদ কমিটির সভাপতি লাল মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেক স্থানীয় গোসাই বাজারে তার দোকানে গেলে হঠাৎ করে তার উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় কদ্দুছ মিয়ার লোকজন।  এ সময় খালেকের সুর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন, খালেক এর বাবা লাল মিয়া ও খালেকের ভাই আব্দুল কাইয়ূম এগিয়ে আসলে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র সশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে পালিয়ে যায় কদ্দুছ মিয়ার লোকজন। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে খালেক মিয়া, তার বাবা লাল মিয়া ও ভাই আব্দুল কাইয়ূমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এসময় খালেকের ভাই আব্দুল কাইয়ূমের অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আব্দুল তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে আব্দুল কাইয়ূমের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। একটি সূত্র জানা গেছে, খড়িয়া গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি ও স্থানীয় গোসাই বাজার জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি  লাল মিয়া ও তার ছেলে আব্দুল খালেক এর সাথে একই গ্রামের মৃত উয়াছ উল্ল্যাহ’র পুত্র আব্দুল কদ্দুছ মিয়া’র বিরোধ চলে আসছিল। গত রবিবার আব্দুল কদ্দুছ মিয়ার হুকুমে মানিক মিয়ার  নেতৃত্বে শফিক মিয়া,আব্দুল আজিজ,আব্দুল হামিদ,হিরা মিয়া,নুর ইসলাম,বাদল মিয়া,নুর মিয়া ও তাদের লোকজন মিলে প্রথমে লাল মিয়ার ছেলে খালেক’র উপর হামলা চালায়। মূহুর্তের মধ্যেই খালেকের বাবা লাল মিয়া ও খালেক এর ভাই আব্দুল কাইয়ূমকে দেশীয় অস্ত্র সশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে তারা চলে যায়।  প্রতিবেশীরা বলছেন গত রবিবার খড়িয়া গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি ও লাল মিয়া ও তার ছেলেদের উপর কদ্দুছ মিয়া ও তার লোকজনের এটা পূর্ব পরিকল্পিত হামলা করা হয়েছে।এ ঘটনায় খালেক মিয়া বাদী হয়ে উল্লেখকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাহুবল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।