,

নবীগঞ্জে মা-বাবাকে জিম্মি করে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ

এম.এ.আই সজিব ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে পিতা-মাতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের সামনে ব্র্যাক স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫) কে ধর্ষণ করেছে একদল লম্পট। তাদের ভয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে নিয়ে পরিবারটি হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছে। এরকম একটি বর্বরোচিত ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমের পিতা লেবাছ মিয়ার কাছ থেকে জানা যায়, তাদের পার্শ্ববর্তী কাকুড়া গ্রামের মৃত মানিক মিয়ার পুত্র মোঃ সজলু মিয়া (২৫) প্রায়ই তার কন্যা লাইলী বেগমকে উত্যক্ত করতো। এতে তিনি বিচারপ্রার্থী হলে লম্পট সজলু ও তার দলবল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এমনকি লাইলীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের হুমকি দেয়। এতে ওই পরিবারটি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। গ্রামে বিচারপ্রার্থী হলেও তাদের বিরুদ্ধে কেউ বিচার করতে সাহস পায়নি। গত রবিবার খাবার পর রাতে ঘুমিয়ে পড়লে রাত ১০টার দিকে সজলু মিয়াসহ তার দলবল তাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। তখন সজলুর সাথে রহমান মিয়ার পুত্র আসাদ মিয়া, রহমত উল্লার পুত্র কাইয়ুম ও জামাল অস্ত্রের মুখে তাকে ও তার স্ত্রী জোসনা বেগমকে জিম্মি করে সজলু ও রজব উদ্দিনের পুত্র এলাছ (২৫) ভিকটিমকে গণর্ধষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় চলে যায়। এব্যপারে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই ভিকটিমের চিকৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে বিষয়টি জানতে পারে। পরে সকালে ওই পরিবারটি লম্পটদের ভয়ে সদর হাসপাতালে এসে আশ্রয় নেয়। কিন্তু আরএমও তাদেরকে রহস্যজনক কারণে ভর্তি করতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরে সাংবাদিকদের চাপের মুখে ভর্তি হতে বাধ্য হন। ওই পরিবারটি এ প্রতিনিধিকে আক্ষেপ করে জানান, তিনি রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার ৪টি ছেলে ও দুটি মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে ভিকটিম বড়। বাকীগুলো প্রতিবন্ধী। ওই পরিবারটি হাসপাতালের বিছানায় বসে কাতড়াচ্ছে। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর