,

লাখাইয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মানায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল মাষ্টারের দাফন সম্পন্ন

এম সি শুভ আহমেদ : লাখাইয়ের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী  মুড়িয়াউক ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল আলম মাষ্টারের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার শেষে দাপন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল ৬ই জুন (শনিবার) সকাল ৯ টায় উপজেলা মাঠে ১ম জানাযা, সকাল ১১ টায় নিজগ্রামে খেলার মাঠে ২য় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সকাল ১১.১৫ মিনিটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ৭১’র রণাঙ্গণের বীর সেনা কে গার্ড অব অনার প্রদান করেন জেলা থেকে আগত একদল  পুলিশ। এতে উপস্থিত ছিলেন:-  উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম আলম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোর্শেদ কামাল চৌধুরী ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড  সংসদ, আনসার বাহিনীর সদস্য সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, ৫ই জুন (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৭ টায় বার্ধক্যজনিত রোগে নিজ বাড়িতেই তিনি ইন্তেকাল করেন। মত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী সহ ৪ পুত্র এবং ৩ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের এক অকুতোভয় বীর সেনা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল আলম। তার মৃত্যুতে সমগ্র হবিগঞ্জ জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রণাঙ্গনের সাথীকে হারানোর সংবাদে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল আলম ১৯৫৪ সালের ২২শে আগস্ট হবিগঞ্জ জেলা লাখাই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম হাজী মোহাম্মদ আঃ রহমান। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশমাতৃকার টানে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ৪ নং সেক্টরের একজন চৌকশ যোদ্ধা ছিলেন। তার মুক্তিবার্তা নং ০৫০৩০৭০০২৩, গেজেট নং ১০৮৭, গেজেটের তারিখ ২৯/০৮/২০০৫ খ্রীঃ, মুক্তিযোদ্ধা সনদ নং ম-১২৭১৬৫, তারিখ: ০৪/০৩/২০০৯ খ্রীঃ, স্মারক নং মু.বি.ম./সা./হবি./প./৫৭/২০০২/১১৫২, কল্যাণ ট্রাস্ট নং ২৩০৭৮।
তারপর তিনি ১৯৭৩ সালে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন কাঠাইয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিনি কাঠাইয়া থেকে ১৯৮০ সালে সুনেশ্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এবং ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত অত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি সর্বশেষ ১৯৮৮ সালে মশাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং এখান থেকেই ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি শিক্ষকতা পেশায় খুবই সাফল্য অর্জন করেন। তিনি ৪ ছেলে এবং তিন কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন । ৪ জন সন্তান সরকারি চাকরিজীবী। ওনার সহধর্মিণী নুরুন্নাহার বেগম জয়ীতা অন্নেষণে বাংলাদেশ-২০১৮ প্রতিযোগিতায় হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ নারী নির্বাচিত হন।


     এই বিভাগের আরো খবর