,

হবিগঞ্জে করোনা টেস্ট ল্যাব স্থাপন সহ ৭ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জে অবিলম্বে করোনা টেস্ট ল্যাব স্থাপন, করোনাকালে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য হবিগঞ্জের বাহিরের সাপ্তাহিক ডাক্তারদের আসা নিশ্চিতকরণ, হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ২৫০ শয্যা অনুপাতে ডাক্তার, নার্স, স্টাফ নিয়োগ করে চিকিৎসার মান উন্নত করা, হাসপাতালে কর্মরত বিশেষজ্ঞ
ডাক্তারদের রোস্টার অনুযায়ী সার্বক্ষনিক চিকিৎসা প্রদান, বাধ্যতামূলকভাবে নিয়মিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আউটডোরে গুরুত্বের সাথে রোগী দেখা নিশ্চিতকরণ, হাসপাতালে বিনামূল্যে সকল রকমের টেস্টের ব্যবস্থা করা, চিকিৎসকদের পদবী ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যৌক্তিক ভিজিট ফি নির্ধারনসহ ৭ দফা দাবিতে আজ সকাল ১১.৩০ মিনিটে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ, হবিগঞ্জ জেলার উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধন
পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর ৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধন চলাকালে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ, হবিগঞ্জ জেলা সংগঠক এড. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং নিয়াজ আহমেদের
পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অধিকার বাস্তবায়ন
পরিষদ হবিগঞ্জ জেলার সংগঠক শফিকুল ইসলাম, মনসুর আহমেদ, শাওন আল হাসান, কাঞ্চন রায়, রাজিব রায় রাজ, শাহআলম, মহসিন আলী প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন- করোনায় অধিক সংখ্যক আক্রান্ত হওয়ায় হবিগঞ্জ জেলার অনেক এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে জেলায় অনেক রোগী অবস্থান করছেন। কিন্তু টেস্ট ল্যাবের অভাবে রোগীদের পরীক্ষা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছে না। হবিগঞ্জের বাহিরের সাপ্তাহিক ডাক্তারগণ হবিগঞ্জে না আসার কারণে সাধারণ রোগীরা চরম সংকটে রয়েছেন। ইতিপূর্বে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে
২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ১০০ শয্যা হাসপাতালের প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স, স্টাফের চরম সংকট রয়েছে। ফলে সরকারি হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বাণিজ্যিক প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে বড় অংকের টাকা খরচ করে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। চিকিৎসকদের ভিজিট ফি এবং প্যাথোলজি টেস্টের ক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য। চিকিৎসকরা ইচ্ছামাফিক ভিজিট ফি নিচ্ছেন। ক্লিনিকগুলোর যোগসাজসে চিকিৎসকরা রোগীদের প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বিভিন্ন টেস্ট করাতে বাধ্য করছেন। এভাবে চিকিৎসা সেবাকে কেন্দ্র করে চরম বাণিজ্য করছেন। তাই অবিলম্বে ৭ দফা দাবির বাস্তবায়ন চাই।


     এই বিভাগের আরো খবর