,

নবীগঞ্জে মেডিকেল অফিসারের করোনা জয়

সলিল বরণ দাশ : নবীগঞ্জ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিকেল অফিসার প্রিয়াংঙ্কা পাল চৌধুরী করোনা সনাক্ত রির্পোট আসতে আসতে করোনা জয় করে ফেললেন তিনি। করোনা পরীক্ষার ১২ দিন পরও রিপোর্টনা আসায় হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে করোনা চিকিৎসার জন্য করোনা পজিটিভ রির্পোট প্রাপ্তির ২ দিনের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষায় আবার নেগেটিভ রিপোট আসে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৩ জুন) ঢাকা ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট ল্যাবরটরি এন্ড রিসার্সসেন্টারের পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো রিপোটে মেডিকেল অফিসার প্রিয়ংকা পাল চৌধুরী (৩৫) করোনায় আক্রান্ত বলে জানানো হয়। পরে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পুনরায় সিলেট মেডিকেল কলেজে এন্ড হাসপাতালের পিসি আর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়। মাত্র ০২ দিনের ব্যবধানে পুনরায় নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্টটি নেগেটিভ আসে। শুক্রবার (২৬ জুন) রাতে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাব থেকে জানানো হয়েছে, মেডিকেল অফিসারের নমুনা পরীক্ষায় করোনার নেগেটিভ এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ জানান, গত ১১ই মে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেওয়ার ১২ দিন পর কোন ধরনের লক্ষণ ছাড়াই গত ২৩ মে মঙ্গলবার মেডিকেল অফিসারের করোনা করোনা পজেটিভ আসে পরে তিনি অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে সিলেট মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে গত ২৫ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করান। বুধবার (২৬ মে) নমুনা পরীক্ষা পর উনার নমুনা পরীক্ষার রিপোট নেগেটিভ আসে। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মেডিকেল অফিসার অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ রাখেন ও চেম্বার বন্ধ রেখে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে শেষে যখন অফিসে যোগ দিবেন তখন তার করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়। মূলত রিপোর্টে প্রাপ্তির দেরীর কারনে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নেওয়ায় তিনি এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে যান। তিনি আরও জানান, এ উপজেলায় ২৭ মে পর্যন্ত ৫২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪ জন।


     এই বিভাগের আরো খবর