,

হবিগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় গরু নবীগঞ্জের কালা তুফান

 দাম হাকােনা হয়েছে সাড়ে ৭ লাখ টাকা

জাবেদ ইকবাল তালুকদার : ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের ফুলতলী বাজার সংলগ্ন সাতাইহাল গ্রামের এ.কে.এম মেহেদী হাসান সুমন পরিচর্যায় বড় হওয়া ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘কালা তুফান। কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা কালা তুফানের ওজন প্রায় ২৪ মণ। ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা ও ৬ ফুট ১১ ইঞ্চি উচুঁ। বিক্রির জন্য কালা তুফানের দাম হাঁকা হয়েছে সাড়ে ৭ লাখ টাকা।
তিন বছর আগে পাবনার আড়াকান্দি থেকে আনা গাভী থেকে ২০১৭ সালে জন্ম হয় কালো ও সাদা রঙের ফ্রিজিয়ান প্রজাতির ষাঁড়টির। জন্মের পর থেকে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ও মোটাতাজাকরণ ‍ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শান্ত প্রকৃতির ও গায়ের রং কালো হওয়ায় এ.কে.এম মেহেদী হাসান সুমন শখ করে ষাঁঢ়টির নাম রেখেছেন ‘কালা তুফান’। তিনি তার ব্যবসার অবসর সময়ে শখ করে ষাঁড়টি লালন-পালন করেছেন।
এ.কে.এম মেহেদী হাসান সুমন বলেন, ‘আমি শখ করে ফ্রিজিয়ান প্রজাতির ষাঁড়টি লালন-পালন করে তার নাম রেখেছি কালা তুফান। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শক্রমে ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে বড় করছি। এখন পর্যন্ত বাজারে ওঠানোর চিন্তা নেই। ষাঁড়টি কিনতে বাড়িতেই লোকজন আসছেন ও দেখছেন। কালা তুফানকে নিয়ে আমার চাহিদা ৭.৫ লাখ টাকা।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার জানা মতে, কালা তুফান নবীগঞ্জ উপজেলা তো বটে হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড় করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে না নিয়ে বাড়ি থেকেই ষাঁড়টি বিক্রির চেষ্টা করছি।’
নবীগঞ্জ  উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভেটেনারী সার্জন ডাঃ হাবিব আহমেদ বলেন, ‘ষাঁটির লালন-পালনের জন্য এ.কে.এম মেহেদী হাসান সুমন আমার কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ নেন। ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার- সবুজ ঘাঁস, শুকনো খর ও গমের ভূষি খাইয়ে ষাঁড়টিকে এ পর্যন্ত তৈরি করেছেন। ষাঁড়টি এ উপজেলা তথা হবিগঞ্জের মধ্যে আমার জানা মতে সবচেয়ে বড়। এই মহামারিকালীন সময়ে ষাঁড়টির যদি ন্যায্যমূল্য পান তবেই তার পরিশ্রমের সার্থকতা আসবে।


     এই বিভাগের আরো খবর