,

আমাদের হবিগঞ্জ এবং করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধি-২

হবিগঞ্জ শহরে প্রায় ২০/২৫টি বানিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। প্রত্যেকটি ব্যাংকেই গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় লেগে আছে। হাতে গোনা কয়েকটি ব্যাংক ছাড়া বেশির ভাগ ব্যাংকের গ্রাহক করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে লেনদেন করছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে লেনদেন করার কোন বাধ্যবাধকতা রাখেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন নাগরিক কমিটি’র হবিগঞ্জ জেলা’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আমি সরেজমিনে  বেশিরভাগ ব্যাংকের সামনে লেনদেন করতে আসা গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন ও জটলা দেখতে পাই অনেক গ্রাহকের মুখে মাস্ক নেই, কারো মাস্ক পকেটে কারো মাস্ক থুতনির নিচে। তাছাড়া করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী নূন্যতম ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও গ্রাহকেরা একে অন্যের গা-ঘেষে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। চিত্র দেখে মনে হল- এ যেন স্বেচ্ছায় করোনা বিনিময়ের লাইন! ব্যাংকের সামনে হাত ধুয়ার সাবান-পানির একটি ব্যবস্থা রেখেই প্রায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের দায় শেষ করেছেন! ব্যাংকে প্রবেশ করা বা বের হওয়ার সময় কাউকে হাত ধৌত করতেও দেখলাম না। আমরা সবাই জানি এই মূহুর্তে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রামনের সুপারপিক আওয়ার চলছে। হবিগঞ্জ শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে প্রতিদিনই করোনা সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা আশংঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপর এমন অবস্থা চলতে থাকলে ব্যাংক ও গ্রাহকদের উদাসীনতার কারণে হবিগঞ্জ জেলায় মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে এমনটাই মনে করছেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন নাগরিক কমিটি, হবিগঞ্জ জেলা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহনের জন্য করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন নাগরিক কমিটি, হবিগঞ্জ জেলার নেতৃবৃন্দ জোর দাবি জানান।
লেখকঃ
ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী
সদস্য সচিব,
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন নাগরিক কমিটি, হবিগঞ্জ জেলা।


     এই বিভাগের আরো খবর