,

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিলের বর্ষপূর্তিতে লন্ডনে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের সামনে জিপিকেএসসি‘র প্রতিবাদ সমাবেশ

মতিয়ার চৌধুরী-লন্ডন থেকে : ভারতীয় সংবিধান থেকে ৩৭০ এবং ৩৫-এ ধারা রহিত করার বর্ষপূর্তিতে দিনটিকে কাল দিবস আখ্যাদিয়ে লন্ডনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে গ্লোবাল পাকিস্থান এন্ড কাশ্মির সুপ্রিম কাউন্সিল (জিপিকেএসসি) নামের একটি সংগঠন। আজ ৫ আগষ্ট লন্ডন সময় দুপুর-এক ঘটিকা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সেন্ট্রেল লন্ডনের এল্ডউইচে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে দুই শতাধিক প্রতিবাদকারী কাশ্মিরি ও পাকিস্তানী পতাকা হাতে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। প্রতিবাদকারিদের সাথে একাত্ততা প্রকাশ করে তাদের সাথে অংশ নেয় ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশের কয়েকটি ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠনের ১০/১২জন সদস্য। প্রতিবাদ কারীরা জম্মুকাশ্মির থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার এবং তাদের ভাষায় কাশ্মিরে গণহত্যা বন্ধের দাবী জানায়। এসময় প্রতিবাদ কারীদের ‘‘ষ্টপ কিলিং‘‘ গো বেগ ইন্ডিয়ান আর্মি‘‘ মোদি টেররিষ্ট এইত্যাদি শ্লোগান দিতে শুনা যায়। প্রতিটি বক্তাই কাশ্মিরের স্বাধীনতার দাবী এবং তাদের ভাষায় গণহত্যা বন্ধের দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। আয়োজক সংগঠন গ্লোবাল পাকিস্তান এন্ড কাশ্মির সুপ্রিম কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাজা সিকন্দর খানের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কাশ্মির জামাত যুক্তরাজ্য শাখার নেতা ঈমাম রামজি,পেট্রয়টিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান চৌধুরী তারিক মাহমুদ, রেহেনা রাজা,ব্রিটিশ কাকিস্তানী নাগরিক স্লাও কাউন্সিলের সাবেক মেয়র ইশরাত শাহা, সোরাইয়া বয়াদ, কাশ্মির কমিটি মেম্মার নওরিন ফারুক ইব্রাহিম, সাবেক এমইপি সাজ্জাদ করিম, তেহরিকি কাশ্মির ইউকের প্রেসিডেন্ট রাজা ফাহিম কাজানি, জিপিকেএসসি‘র সেক্রেটারী জেনারেল জাহিদ খান, রাজা সুলতান প্রেসিডেন্ট লন্ডন ব্রান্স জিপিকেএসসি। এসময় বক্তরা বলেন ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত লক্ষাধিক নীরিহ কাশ্মিরীদের হত্যা করেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী, প্রতিদিনই কাশ্মিরে সাধারন মানুষকে হত্যা করছে ভারতীয় আর্মি। এপর্যন্ত বিশ হাজারেরও বেশী কাশ্মিরী নারী ভারতীয় সেনা বাহিনীর হাতে ধর্ষিত হয়েছে। বক্তারা কাশ্মির থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের দাবী জানান সেই সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাশ্মিরীদের স্বাধীনতার দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। বক্তারা বলেন সংবিধান থেকে ৩৭০ ও ৩৫-ধারা রহিত করে ভারত সরকার কাশ্মিরীদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আর একারনেই আমরা দিনটিকে কাল দিবস ঘোষনা করেছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টেররিষ্ট আখ্যা দিয়ে বক্তরা বলেন মোদীর সে আশা কোন দিনই পূর্ন হবেনা, গতকাল অখন্ড কাশ্মিরের নতুন ম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা চাই স্বাধীন কাশ্মির, যতদিন পর্যন্ত কাশ্মির স্বাধীন নাহবে আমাদের আন্দোলন চলবে। বক্তরা বলেন নরেন্দ্র মোদীর ভারত আর ভারত থাকছেনা, অচিরেই তা খন্ড খন্ড হয়ে যাবে। এখানে উল্লেখ যে কাশ্মিরী নারীদের পৈতৃক সম্পদের সুরক্ষা এবং কাশ্মিরের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কাশ্মিরে বিদেশী বিনিয়োগ ইত্যাদি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় চিন্তা করে কাশ্মিরি জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালের ৫আগষ্ট সংবিধানের এই দুটি ধারা বাতিল করে। এর প্রেক্ষিতে কাশ্মিরের জনগন সরকারের এসিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও কয়েকটি বিচ্ছিহ্নতাবাদী সংগঠন ও প্রতিবেশী দেশ পাকিস্থান এটিকে মেনে নিতে পারেনি। এর পর পাকিস্তান সরকারের পৃষ্টপোষকতায় পাকিস্থান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মির এবং পাকিস্থানী নাগরিকদের নিয়ে গঠিত সংগঠন গ্লোবাল পাকিস্থান এন্ড কাশ্মির সুপ্রিম কাউিন্সিল দিনটিকে কালদিবস আখ্যায়িত করে লন্ডন সহ বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।


     এই বিভাগের আরো খবর