,

বানিয়াচংয়ে ইটপাটকেল ছুড়াছুড়িতে আহত ১০ ॥ সাংবাদিকের ঘর ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টর ॥ সরকারী খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বানিয়াচং উপজেলা সদর শেখের মহল্লা ও শরীফখানী ২ মহল্লাবাসীর মধ্যে প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী সুনারু খালের এপাড় ওপাড় থেকে ইটপাটকেল ছুড়াছুড়িতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় সাংবাদিক জীবন আহমেদ লিটনের বাড়িতে শরীফখানীর লোকজন বৃষ্টির মত ইটপাটকেল ছুড়ে ৩টি ঘর ব্যাপক ভাংচুর করে। পরে দুুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ানোর চেষ্টা করলে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন, ওসি তদন্ত প্রজীত কুমার দাস, সেকেন্ড অফিসার এস আই আব্দুর রহমান, এস আই আব্দুছ ছাত্তারসহ সঙ্গীয় ফোর্সের বলিষ্ট ভূমিকা এবং শেখের মহল্লার সর্দার মোত্তাক্কিন বিশ^াস ও শরীফখানী মহল্লার সর্দার ইকবাল হোসেন খানের মধ্যস্থতায় বড়ধরনের রক্তপাত থেকে রক্ষা পায় এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার দুপুর ২ ঘটিকা থেকে বিকাল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত। স্থানীয় সূত্র জানায়, শেখের মহল্লার উস্তার উল্লার পুত্র আলামিন ৩০ তার নিজ বাড়ির পাশের সুনারু খালে মাছ ধরতে যায়। এ সময় শরীফখানী মহল্লার মনু উল্লার পুত্র মতি মিয়া, মতি মিয়ার পুত্র হুমায়ুনসহ ৭ থেকে ৮ জন লোক আল আমিনকে অভিনব কায়দায় তুলে নিযে লোহার রড দিয়ে বেধরক মার পিঠ করে। খবর পেয়ে আল আমিনের আত্মীয় স্বজন একদল যুবক খাল পাড় হয়ে শরীফখানী সীমানা থেকে আল আমিনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আল আমিনকে আহত করেই ক্লান্ত হয়নি শরীফখানীর লোকজন। তাদের মসজিদের মাইকে শেখের মহল্লার লোকজনের সাথে সংঘর্ষ করতে আহ্বান জানালে শতশত লোকজন খালের ওপার থেকে শেখের মহল্লার সীমানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এ খবর শেখের মহল্লার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারাও শত শত মানুষ জড়ো হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। প্রায দেড় ঘন্টাব্যাপী চলে এপার ওপার ইটপাটকেল ছুড়াছুড়ি। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শরীফ উদ্দিন সড়কে সংঘর্ষের চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর গুণীজনদের বলিষ্ট ভূমিকায় ভয়াবহ রক্তপাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে দৈনিক ভোরের কাগজ বানিয়াচং প্রতিনিধি ও দৈনিক অনুসন্ধান পত্রিকার সম্পাদক এবং দৈনিক প্রতিদিনের বাণীর স্টাফ রিপোর্টার বানিয়াচং প্রেসক্লাব নেতা সাংবাদিক জীবন আহমেদ লিটন জানান, বিনা উস্কানিতে শরীফখানীর লোকজন হামলা চালায় এবং তার বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে। তিনি আরও জানান, শেখের মহল্লার মুরুব্বীদের পরামর্মক্রমে তিনি পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ সেখানে গিয়েছে। তারপরও নিয়ন্ত্রনে না আসায় তিনি নিজে ফোর্স নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন। বর্তমানেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ওসি বলেন, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই মামলা দায়ের করেননি।


     এই বিভাগের আরো খবর