,

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবেদনসিলেট বিভাগের মধ্যে হবিগঞ্জে মাতৃমৃত্যু কম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে বিগত ১ বছরে ৯৯ জন মায়ের গর্ভকালীন জটিলতায় মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আজমীরিগঞ্জ উপজেলায় ১১, বানিয়াচং উপজেলায় ১৮, চুনারুঘাট উপজেলায় ১১, নবীগঞ্জ উপজেলায় ১২, বাহুবল উপজেলায় ১১, সদর উপজেলায় ১৮, লাখাই উপজেলায় ৫ এবং মাধবপুর উপজেলায় ১৩। উল্লেখিত মাতৃমৃত্যুর মধ্যে প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণে ৪৯%, বিলম্বিত প্রসব ৩%, বাধাগ্রস্থ প্রসব ৪%, একলামসিয়া ২৩% এবং অন্যান্য জটিলতা ৭%। বর্তমানে গর্ভকালীন সেবা ৭২%, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যাক্তি দ্বারা ডেলিভারী ২৯%। গতকাল সোমবার হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল কনফারেন্স রুমে জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উদ্যোগে এবং মা-মনি এইচএসএস প্রকল্পের সহায়তায় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সিভিল সার্জন ডাঃ নাসির উদ্দিন ভূঞাঁর সভাপতিত্বে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ দিলীপ কুমার ভৌমিক। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর সংখ্যা কম হওয়া স্বত্ত্বেও বিগত বছরের তুলনায় সিলেট বিভাগের মধ্যে হবিগঞ্জে মাতৃমৃত্যু কমে এসেছে এবং গর্ভকালীন সেবার হার বেড়েছে। যদি প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর সংখ্যা বাড়ানো যায় তাহলে মাতৃমৃত্যুর হার আরোও কমে আসবে। প্রতিবেদনে মাতৃমৃত্যুর উল্লেখযোগ্য কারণ সমুহ প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ, একলামশিয়া, বাধাগ্রস্থ প্রসব এবং অন্যান্য জটিলতা সমুহ তুলে ধরা হয়। এছাড়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ইমতিয়াজ আহমদ, জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জাহানারা পারভীন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম, হবিগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজের প্রভাষক জাহেদা জেসমিন, মা-মনি এইচ এসএস প্রকল্পের ডাঃ সানজিদা আলম, ব্রাক জেলা কর্মকর্তা স্বাস্থ্য হুমায়ুন কবীর এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাগণ। বক্তাগণ বলেন, একজন মায়ের মৃত্যু শুধু মৃত্যু নয়, এধরনের মৃত্যু পুরোপরিবারের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। রেখে যাওয়া সন্তানের ভবিষ্যতকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। আমাদের সম্পদ সীমিত, কিন্তু তারপরেও এই সীমিত সম্পদের মধ্যে আমাদের সেবার পরিধি বাড়াতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী বাড়াতে হবে। তারা আরও বলেন, যদি গর্ভকালীন সময়ে সঠিকভাবে বিভিন্ন জটিলতা সমুহ চিহিৃত করা যায় তাহলে একলামশিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাছাড়া সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। আগামী ২৮ মে আন্তজার্তিক নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “প্রতিটি জন্মই হোক পরিকল্পিত, প্রতিটি প্রসবই হোক নিরাপদ”। সিনিয়র টেকনিশিয়ান নিখিল রঞ্জন শর্মার পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেইভ দা চিলড্রেন ইন্টাঃ সিনিয়র ম্যানেজার ডঃ বিভাকর রায়।


     এই বিভাগের আরো খবর