,

দ্রুত সময়ের ভেতর পূনরায় লন্ডন থেকে বাংলাদেশে কার্গ্রো সার্ভিস চালুর দাবী ব্রিটিশ বাংলাদেশী কার্গ্রো ব্যবসায়ীদের

মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন : বাংলাদেশ কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ি শিতিল, সহজ শর্তে সুলভে শুল্ক প্রদানের সুবিধা ও ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের স্বার্থ বিবেচনায় রেখে ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশে মালামাল প্রেরণ ও খালাস এবং দ্রুততম সময়ের ভেতর পুনরায় নিয়মিত ফ্লাইটে কার্গ্রো সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছে ব্রিটিশ বাংলাদেশী কার্গ্রো ব্যবসায়ীরা । গতকাল ২৫ আগষ্ট বিকেলে লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে কার্গ্রোব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এই দাবি জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা জানান কোভিড-১৯ এর অজুহাতে বাংলাদেশ কাষ্টম বিভাগের কয়েকটি অহেতুক সিদ্ধান্তের কারনে ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশে কার্গ্রো প্রেরণ বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ কাষ্টমস বিভাগের অমূলক সিদ্ধান্তের কারনে ব্রিটেনে পাঁচ শতাধিক কার্গ্রো প্রতিষ্টান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে, এসব প্রতিষ্টানে দশ হাজার ব্রিটিশ বাংলাদেশী কাজ করে। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে তিনটি দাবী জানিয়েছেন । তাদের উত্থাপিত দাবিগুলো হলো ১. কোভিড-১৯ এবং প্রবাসিদের স্বার্থ বিবেচনায় সহজ শর্তে বিটেন থেকে দ্রব্যাদি প্রেরণ এবং দেশে খালাসের ব্যবস্থা। ২. ভারত সহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা সহজতর ভাবে শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে কার্গ্রাে প্রেরণ করতে পারলেও প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই সুযোগ পাচ্ছেননা। প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ সমুন্নত রেখে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন ও এক্ষেত্রে প্রবাসী ব্যবসায়ী সংগঠন গুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করার দাবী জানান ব্যবসায়ীরা। সংবাদসম্মেলনে ব্রিটিশ বাংলাদেশী কার্গ্রো ব্যবসায়ীদের সংগঠন এবিবিসিএ‘র পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান ও জেএমজি কার্গ্রোর এমডি মোঃ মনির আহমদ, সেক্রেটারী মিঠু পাল ও প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মিজানুল হক আদিল। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাগ্রো ব্যবসায়ীরা বলেন বেশ কয়েকমাস যাবত সিলেটে কাষ্টম কর্তৃপক্ষ কয়েকটন কার্গ্রো পন্য জব্দ করে রেখেছে, এর সাথে ব্রিটেনের কার্গ্রো ব্যবসায়ীদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। ব্রিটেন থেকে বর্তমানে বাংলাদেশে বানিজ্যিক কর্গ্রো সার্ভিস চালু থাকলেও সাধারন যাত্রী ও প্রবাসীদের মালামাল প্রেরনের কার্গ্রো সাভিস বন্ধ রয়েছে। ব্রিটেন থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রতিমাসে নিয়মিত ফ্লাইটে কয়েক হাজার টন ব্যবহার্য্য দ্রব্যাদি কার্গ্রো করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে থাকেন। কাষ্টম বিভাগের সিদ্ধান্তে এটি এখন সম্পুর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে যেনম বিপাকে পড়েছেন বিমানযাত্রী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা। এতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হারাচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। গেল পাঁচ মাস যাবত এসার্ভিস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন বিমানযাত্রী ও কার্গ্রো ব্যবসায়ীরা


     এই বিভাগের আরো খবর