,

প্রধানমন্ত্রী বরাবরে ব্রিটিশ বাংলাদেশী কার্গো ব্যবসায়ীদের স্মারকলিপি হাইকমিশনারের সহযোগীতার আশ্বাস

মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন : গ্রেটব্রিটেনে বাংলাদেশী কার্গো ব্যবসার বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেছে অল-ব্রিটিশ-বাংলাদেশী-কার্গো-এজেন্টস-এসোসিয়েশন। এসময় কার্গো ব্যবসায়ীরা হাইকমিশনারকে জানান বাংলাদেশে হাউসহোল্ড পন্যের কার্গো পাঠানো প্রায় পাঁচ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে। কোভিড-১৯ এর অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশ কাস্টমস বিভাগের কয়েকটি অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের কারনে এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।ব্যবসায়ীরা বলেন কার্গো সার্ভিস বন্ধ থাকায় সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি ব্রিটেনে এজেন্ট-সাব এজেন্ট মিলিয়ে প্রায় পাঁচ‘শ প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বন্ধ আর কর্মহীন প্রায় কয়েক হাজার। তারা সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। গেল ২৭ আগষ্ট দুপুরে অল-বৃটিশ-বাংলাদেশী-কার্গো-এজেন্টস-এসোসিয়েশনের নেতাদের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেছেন, মহামারির সময়েও ব্রিটেন থেকে এক দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা। এসময় তিনি আরও বলেন, ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশে কার্গো পণ্য পাঠানোর সাথে মানবিক দিক ও সমাজসেবার মতো বিষয় জড়িত। তাই কার্গোতে ব্যক্তিগত মালামাল পাঠানোর সকল বাঁধা দূর করতে হাইকমিশন আন্তরিকভাবে কাজ করবে। কভিড পরিস্থিতিতেও ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশে বিশাল অংকের অর্থ প্রেরন করায় প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানান তিনি। এসময় হাইকমিশনার বলেন কভিড এর কারনে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে বিমানের ফ্লাইট কমিয়ে সপ্তাহে একটি করা হলেও ফিরতি ফ্লাইট প্রায়ই খালি যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে আসার সময় বিমানে যাত্রীরা আসলেও ফিরতি ফ্লাইট খালি যায়, এখন ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা দেশে যাচ্ছেন কম। কিন্তু তারপরও কার্গোর মাধ্যমে পণ্য প্রেরনের চাহিদা রয়েছে। স্মারকলিপি হস্থান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন অল ব্রিটিশ বাংলাদেশী কার্গো এজেন্টস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মনির আহমদ, জেনারেল সেক্রেটারী মিটু পাল, প্রেসিডেন্ট মিজানুল হক, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি নূরুল ইসলাম, বিশিষ্ট কমউনিটি নেতা রবিন পাল ও হাইকশিনের কর্মাশিয়াল কাউন্সিলার জাকারিয়া হক।


     এই বিভাগের আরো খবর