,

চুরির উদ্দেশ্যে ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা

সময় ডেস্ক ॥ চুরির উদ্দেশ্যে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ তথ্য র‌্যাবকে জানিয়েছেন এ হামলার ঘটনার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুরে র‌্যাব-১৩ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‌্যাব-১৩-এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস। রেজা আহমেদ ফেরদৌস বলেন, আটক আসাদুলের দাবি, হামলা করেছেন আরেক আসামি নবীরুল ইসলাম। চুরির উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসাদুল। র‌্যাব-১৩-এর অধিনায়ক বলেন, কী কারণে হামলা হয়েছে, সে ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছার সময় এখনো আসেনি। র‌্যাবের পক্ষ থেকে ছায়া তদন্ত চলছে। এটা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, এ ঘটনায় আটক যুবলীগের নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এই হামলার ঘটনায় সবশেষ গতকাল শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে নবীরুল ইসলাম (৩৮) নামের একজনকে আটক করা হয়। সে পেশায় রং মিস্ত্রি। তার কাছ থেকে একটি হাতুড়ি জব্দ করা হয়েছে। তাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা সংলগ্ন চক বামনদিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রাম থেকে আটক করা হয়। এর আগে এই হামলার ঘটনায় গতকাল ভোরে দুজনকে আটক করা হয়। একজন ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুর সাগরপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২)। অন্যজন একই উপজেলার রানীগঞ্জ কষিগারি এলাকার আসাদুল ইসলাম (৩৫)। গত বুধবার মধ্যরাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর কেটে দুর্বৃত্তরা তার শয়নকক্ষে ঢুকে পড়ে। এর আগে দুর্বৃত্তরা ওই বাসভবনের নিরাপত্তাপ্রহরীকে বেঁধে প্রহরীকক্ষে তালা দিয়ে আটকে রাখে। ইউএনওর বাবা ওমর আলী (৬০) প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হন। কিন্তু গত বুধবার সকালে তিনি হাঁটতে বের না হওয়ায় সঙ্গীরা তার খোঁজ নেয়ার জন্য বাসভবনে যান। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ইউএনও, তার বাবা ও প্রহরীকে উদ্ধার করে। আহত বাবা-মেয়েকে গত বুধবার সকালে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। তিনি এখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন। ওয়াহিদার বাবা রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর