,

সুজাতপুর ইউনিয়নে কোটি টাকার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার অবহেলিত এলাকা ১২নং সুজাতপুর ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য কোটি টাকার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার ইউপি প্রাঙ্গণে যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি খাত, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহায়তা তহবিল, এলাকার জনগুরুত্ব দিকগুলোর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৯৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৩৩ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন জননন্দিত ইউপি চেয়ারম্যান এনাম খান চৌধুরী ফরিদ। চেয়ারম্যান এনাম খান চৌধুরী ফরিদের সভাপতিত্বে উন্মুক্ত বাজেট সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মুহাম্মদ রায়হানুল হারুণ, হানিফ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসেন, মোনায়েম হোসেন চৌধুরী, দৈনিক মানবকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আবু হাসিব খান চৌধুরী পাবেল, জনস্বাস্থ্য প্রতিনিধি অনুপম দাস, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের নজরুল ইসলাম, মা-মনির হোসাইন মুনসির, ব্যাক প্রতিনিধি সেন্টু ঘোমেজ। ইউপি সচিব বাবুল চন্দ্র রায়ের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, উপ সহকারী কৃষি অফিসার আশিষ কুমার দাশ, এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বাচ্চু মিয়া ঠাকুর, মোঃ মোবারক মিয়া, সুজাতপুর বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালের ভারপ্রাপ্ত সভাপিত শুভ আহমেদ মজলিস, ইউপি সদস্য মোঃ শাহজাহান মিয়া, এমরান চৌধুরী আজমান, শাহিন মিয়া, ধরনি কান্ত দাশ, রানু চৌধুরী, দীপ্তি রানী চৌধুরী, জাহেনারা আক্তার, বজলুর রহমান, ক্বারী মনতাজ উল্লা, সত্যবান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দেবেশ অধিকারী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহতাব মিয়া, পিংকু রায়, কাজল রায়সহ এলাকা গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। বাজেট সভা শেষে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সুজাতপুর ভুমি অফিস কম্পিউটার ও প্রিন্টার, সৎমূখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুজাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইকরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কম্পিউটার প্রধান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামছুল ইসলাম, সহকারী কমিশানার ভূমি মুহাম্মদ রায়হানুল হারুন ও চেয়ারম্যান এনাম খান চৌধুরী ফরিদ শিক্ষক ও বিদ্যালয় কমিটির হাতে কম্পিউটার তুলে দেন। বাজেটের কপি উপস্থিত সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়। বাজেট সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম বলেন, একটি ইউনিয়নকে উন্নত করতে হলে শুধু চেয়ারম্যান বা মেম্বারগণের পক্ষে সম্ভব নয়। সময়মত কর পরিশোধ করে ইউনিয়নের উন্নমূলক কাজে অংশ গ্রহণ করতে হবে। শুধু সরকারী বরাদ্ধের উপর ভরসা না করে ইউনিয়নের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে হবে। যত বেশি ইউপি কর পরিশোধ তত বেশি উন্নয়ন।


     এই বিভাগের আরো খবর