,

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হবে সদর উপজেলায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জাতীয় সংসদে বিল পাস হয় গত ১০ সেপ্টেম্বর। এরপর শুরু হয় জেলাজুড়ে আনন্দ-উল্লাস আর স্থানে স্থানে মিষ্টি বিতরণ। করোনা ভাইরাসকে উপেক্ষা করে আনন্দ মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত শুক্রবার হবিগঞ্জ জেলার মসজিদে মসজিদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এর জন্য দোয়া এবং মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনা করা হয়। দলে দলে ফুলের তোড়া দিয়ে অ্যাডভোকেট আবু জাহিরকে শুভেচ্ছা জানান নেতৃবৃন্দ। এরপর থেকেই হবিগঞ্জ জেলার কোন উপজেলায় স্থাপিত হতে যাচ্ছে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এনিয়ে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কমতি ছিল না দাবীদারদের আবদারের। অবশেষে জানা গেল হবিগঞ্জ জেলার কোন উপজেলায় হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত বাংলাদেশের সপ্তম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি কর্তৃক উত্থাপিত এবং জাতীয় সংসদে পাশকৃত বিলটির তৃতীয় দফার ১নং উপ দফায় উল্লেখ রয়েছে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হবে হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায়। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্য শেখ হাসিনা এমপি’র নেতৃত্বে কণ্ঠভোটে বহুল প্রতীক্ষিত হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনটি পাস হয়। বিলটি পাসের সময় সংসদ অধিবেশনে হবিগঞ্জ জেলার একামাত্র এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহিরও উপস্থিত ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ নিউফিল্ডে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ও বাল্লা স্থলবন্দরসহ বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন উক্ত জনসভার সভাপতি ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চারটি দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। এগুলো হল হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলায় রূপান্তর ও বাল্লা স্থলবন্দর। পরে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। যার অনুলিপি দেয়া হয়েছিল শুধুমাত্র ৩ জনকে। তারা হলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ও কর্যালয়ের মহাপরিচালক। এরপর থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ও বাল্লা স্থলবন্দর বাস্তবায়নের কাজে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাপ শুরু করেন এমপি আবু জাহির। তার এই অকান্ত প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে মেডিক্যাল কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা, বাল্লা স্থলবন্দর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হয়েছে। সর্বশেষ গেল ২৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সভাপতিত্বে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রীসভা। পরে বিলটি গত ২৩ জুন সংসদে উত্থাপিত হলে পরীাপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। অবশেষে গত ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিলটি প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে পাস হয়। এরপর থেকেই হবিগঞ্জে বইছে আনন্দের বন্যা। গত শুক্রবার এমপি আবু জাহির হবিগঞ্জ আসলে জুম্মার নামাজে মুসল্লীদেরকে নিয়ে শুকরিয়া আদায় করেন এবং জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য সকলকে নিয়ে দোয়া করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর