,

হবিগঞ্জে টমটম দুর্ঘটনায় এক শিক্ষক গুরুতর আহত, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরে দীর্ঘদিন ধরে চাহিদার তুলনায় ব্যাটারী চালিত টমটম চলাচল করছে তিনগুণ। যার ফলে প্রতিনিয়তই শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি টমটমগুলোর অদ ও অপ্রাপ্ত চালক দ্বারা চালানোর কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া টমটমগুলো অদক্ষ ও অপ্রাপ্ত চালক দ্বারা চালানোর কারণে দুর্ঘটনাতো ঘটছে। গত মঙ্গলবার হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আষেড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলী আশরাফ বিএসসি হবিগঞ্জ শহর থেকে যাবার পথে টমটম দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তার ডান কাঁধ ও বুকের তিনটি হার ভেঙে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় টমটম চালক ও মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ফুঁসে উঠছে ছাত্রছাত্রীসহ গ্রামবাসীরা। যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এদিকে শহরকে যানজটমুক্ত রাখার বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইন শৃংখলা সভা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সভাগুলোতে আলোচনা হচ্ছে। এসব আলোচনার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন শহরকে যানজট মুক্ত করতে টমটমকে শহর থেকে বিদায় করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গত বছরের ১০ জুলাই। তৎকালীন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে ওই সভায় বলা হয়, টমটম চার্জের জন্যও শহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ গ্যারেজ তৈরী করা হয়েছে। সেই গ্যারেজগুলোও সিলগালা করে বন্ধ করে দেয়া হবে। যে সকল টমটমের লাইন্সেস আছে, সেগুলো নবায়ন করা হবে। সেদিনের সে সভায় পৌর মেয়রও উপস্থিত ছিলেন এবং বলেছিলেন নতুন করে টমটমের লাইসেন্স দেয়া হবে না। কিন্তু জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ বদলী হয়ে যাওয়ার পর চলতি অর্থ বৎসরে ১২শ টমটমের লাইসেন্স নবায়নের পাশাপাশি নতুন করে আরও ১শ টমটমের অনুমতি দেয় হবিগঞ্জ পৌরসভা। ওই সভায় যাত্রীদের সুবিধার্থে হবিগঞ্জ শহরে বিশেষ রঙের সিএনজি অটোরিকশা সার্ভিস চালু করার কথা বলা হয়েছিলো এবং হবিগঞ্জ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি আরটিএ সভায় শীঘ্রই অনুমোদন করার কথা ছিলো। কিন্তু কিছুই হয়নি। ফলে শহরের প্রধান সড়কসহ ব্রেক রোডের সড়কগুলোতেও এখন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এসব টমটম এখন মরার উপর খরার গাঁ হয়ে দাড়িয়েছে। এসব টমটম চালক ও মালিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না পৌরসভা। ফলে পৌর কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই গড়ে উঠছে কথিত একটি সংগঠন। যারা পৌর কর্তৃপক্ষ ও সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ৫ টাকা করে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। গত ১৫ দিনেও পৌরসভা এ বিষয়ে কোনো প্রতিকার নিচ্ছে না।


     এই বিভাগের আরো খবর