,

তিতাসের তদন্ত প্রতিবেদন: গ্যাস লিকেজ থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণ

সময় ডেস্ক ॥ মসজিদ কমিটি এবং দুইজন গ্রাহকের ওপরে নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের দোষ চাপিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি নিজেদের তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জমে থাকা গ্যাসে বিদ্যুৎ স্পার্ক থেকে আগুন লেগে নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছে। মসজিদ নির্মাণের সময় পার্শ্ববর্তী গ্যাস লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই লাইন থেকে গ্যাস বের হয়েছে। মসজিদের একটি বিদ্যুৎ লাইনও ছিলো অবৈধ। ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইনটি ২২ বছর আগে পরিত্যক্ত হয়েছিল। দু’জন গ্রাহক তিতাসকে না জানিয়ে নিজরাই সংযোগ পাল্টানোর সময় এই পাইপলাইন পরিত্যাগ করেছিল। সম্প্রতি গ্যাস লিকেজের বিষয়েও কেউ তিতাস গ্যাসকে অবহিত করেনি। এভাবেই নিজেদের দায় এড়িয়ে মসজিদ কমিটি এবং দুইজন গ্রাহকের ওপরে বিস্ফোরণের দোষ চাপিয়েছে তিতাসের তদন্ত কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমানের কাছে ১৬ প্রতিষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তিতাস গ্যাস। এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আব্দুল ফাত্তাহ, তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. মামুন, তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে নসরুল হামিদ বলেন, দুর্ঘটনার দায় কেউ এড়াতে পারবে না। মসজিদে বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে কাজ করেছে তিতাসের কমিটি। তাদের প্রতিবেদন আমরা হাতে পেয়েছি। বিদ্যুতের দিকটি খতিয়ে দেখতে ডিপিডিসির একটি কমিটি কাজ করছে। তাদের প্রতিবেদন কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের কাছে জমা হবে। এরপর মন্ত্রণালয় যাচাই বাছাই করে দেখবে কার কতটুকু দায় রয়েছে। নিজেরা তদন্ত করলে নিজেদের দোষ ত্রুটি এড়ানোর প্রচেষ্টা অনেকের থাকে। কিন্তু আমরা কাউকে ছাড় দেবো না। তিতাসের অবহেলা রয়েছে কি না, বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ কিভাবে পেলো-এর সাথে ডিপিডিসির কোনো কর্মকর্তা জড়িত ছিলো, গ্রাহকের দায় কতটুকু সব খতিয়ে দেখা হবে। গত ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে এশার নামাজ আদায়ের সময় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়। এ পর্যন্ত ৩১ জন মারা গেছেন। এক ব্যক্তি কেবল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চিকিৎসাধীন অন্য দগ্ধদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।


     এই বিভাগের আরো খবর