,

আজমিরীগঞ্জের পাহাড়পুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৫টি দোকান ভস্মীভূত! ২৫/৩০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির আশংকা

হাবিবুর রহমান রিয়াদ ॥ আজমিরীগঞ্জ ২নং বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় ২৫টি দোকান ভস্মীভূত। এতে অনুমানিক ২৫/৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। জানা যায়, আজমিরীগঞ্জের বদলপুরের ইউনিয়নের পাহাড়পুর বাজারে গতকাল শুক্রবার দুপুর অনুমানিক সাড়ে ৪ টায় বিষ্ণুপদ দাসের মালিকাধীন একটি জালের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ওই সময় দোকানটি বন্ধ অবস্থায় ছিল। মূর্হুতেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে বাজারের লোকজন শোর-চিৎকার শুরু করে। শোর-চিৎকার শুনে বাজারের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও আশপাশের লোকজন দৌঁড়ে ঘটনাস্থলে ছুঁটে আসে। পর যে যার মত নদী, পুকুর ও নলকূপ থেকে পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। প্রায় ২ ঘন্টা প্রাণ-পণ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় পরবর্তীতে স্থানীয় ভাবে ছোট পাওয়ার পাম্প মেশিন লাগিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় এলাকাবাসী। সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি। তবে নবীগঞ্জ থেকে একটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁঁছে, নদী থেকে ছোট মেশিনের মাধ্যমে পানি ঢেলে রাত অনুমানিক ৮ টায় অর্থাৎ অনুমানিক সাড়ে ৪ ঘন্টার অক্লান্ত পরিশ্রমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরই মধ্যে ওই বাজারের প্রায় ২৫টির ও উপরে ব্যবসা প্রতিষ্টান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এরই মধ্যে বিশ্ব দাসের মাতৃভান্ডার, হরিদাসের জনতা স্টোর, সহ ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্টান, বীরেন্দ্র দাসের কারেন্ট জালের দোকান, রাতুল তালুকদারের দোকান, পৃথিশ বৈষ্ণবের মুদীদোকান, রণ বৈষ্ণবের কাপড়ের দোকান, জয়হরি দাসের কাপড়ের দোকান, কবিন্দ্র দাসের কাপড় ও জালের দোকান, গোপাল দাস (মেম্বার) এর জালের দোকান, শিবু দাসের ঢেউ টিনের দোকান, জগদীশ বৈষ্ণবের কাপড়ের দোকান, মনু দাসের চালের দোকান, সুবল দাসের কাপড়ের দোকান, সুকুমার দাসের কাপড়ের দোকান, বিধান দাসের কাপড়ের দোকান, বিন্দু চন্দ্র দাসের কাপড়ের দোকান, সত্যেন্দ্র দাসের মুদীদোকান, ব্রজেন্দ্র দাসের এলোমিনিয়ামের দোকান সহ ২৫টি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) উত্তম কুমার দাস এবং ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্টানের মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুমানিক প্রায় ২৫/৩০কোটি টাকা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর