,

ময়নাতদন্তের জন্য মাধবপুরে সাড়ে ৩ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

পিন্টু অধিকারী ॥ মাধবপুর উপজেলা মৃত্যুর সাড়ে তিন মাস পরে পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য এক ব্যাক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার ইটাখোলা কবরস্থান থেকে ইটাখোলা গ্রামের হেফজুর রহমান মাষ্টারের ছেলে সাইফুর রহমান মোর্শেদের (৩০) লাশ মৃত্যুর সাড়ে তিন মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিক মন্ডল, পিবিআই ইন্সপেক্টর শরিফ মোঃ রেজাউল করিম সহ নোয়াপাড়া এলাকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। গত ৮ জুন মাধবপুর থানা পুলিশ সাইফুর রহমান মোর্শেদের লাশ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইটাখোলা গ্রামে তার বসত ঘর থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। এ দিনই মৃত সাইফুর রহমান মোর্শেদের বড় ভাই শফিকুর রহমান শামীম মাধবপুর থানায় মোর্শেদের স্ত্রী হাসিনা বেগম হাাঁসিকে আসামী করে খুনের মামলা দায়ের করেন। মাধবপুর থানার মামলা নং১১ । পুলিশ হাসিনা বেগম হাাঁসিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। তার ৭ বছরের একমাত্র কন্যা সন্তান ফাতেমা তাবাসসুম খড়কী গ্রামে হাঁসির বাবার বাড়ীতে রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। মামলার দতন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর শরিফ মোঃ রেজাউল করিম জানান প্রায় দেড় মাস পূর্বে তিনি এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন। সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে গরমিল থাকায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে পুনরায় লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। মামলার বাদী শফিকুর রহমান শামীম জানান অনুমান ১০ বছর পূর্বে প্রেম করে তার ভাই মোর্শেদ খড়কী গ্রামের আব্দুস সহিদের মেয়ে হাসিনা বেগম হাঁসিকে বিয়ে করে আলাদা বসবাস করছে। মোর্শেদ ও হাঁসির মধ্যে বনিবনা ছিল না। হাঁসি কমিউনিটি হেলথ মাঠকর্মী খড়কী শাখায় চাকুরী করতো। তার সুপারভাইজারের সাথে পরকীয়া প্রেমের কারনে মোশেদকে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে লাশের গলায় ফাঁসি দিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলানো হয়েছে। এ বিষয় তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন। শামীম বলেন মাধবপুর থানার এস আই মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ গাজী প্রস্তুতকৃত সাইফুর রহমান মোর্শেদের মৃত দেহের সুরতহাল রিপোর্টে ঠোটে, পিটে, পেটে, পায়ের আঙ্গুল থেতলানো পুরুষাঙ্গ থেতলানো ও ফুলা, দুই বগল থেতলানো ও ফুলা, কোমর হতে পা পর্যন্ত শরীর থেতলানো ও চামড়া উঠানো সহ বিভিন্ন আঘাতের চিন্থের কথা উল্লেখ রয়েছে। ছবিও রয়েছে অথচ ময়না তদন্ত রিপোর্টে কিছুই নেই। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আর সুরতহাল রিপোর্টে ব্যাপক গরমিল রয়েছে। ময়না তদন্তে প্রকৃত ও সত্যগোপন করা হয়েছে তাই তিনি পুনরায় ময়নাতদন্ত দাবী করায় আদালতের আদেশে পুনরায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর