,

ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সৈয়দ আফরোজ বখ্ত আর নেই

মোঃ জুনাইদ চৌধুরী ॥ ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আফরোজ বখ্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি…….. রাজিউন)। গতকার বুধবার বেলা ১টা ৪০ মিনিটে সিলেট এমএ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ জেলা আইনজিবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রুহুল হাসান শরীফ। তিনি জানান গতকাল বুধবার সকালে অ্যাডভোকেট সৈয়দ আফরোজ বখ্ত পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবিগঞ্জ আদালতে আসেন। এ সময় তিনি হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে উপস্থিত লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এম.এজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে নবীগঞ্জে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সন্ধ্যা ৭টায় হবিগঞ্জ জজকোর্ট প্রাঙ্গনে প্রথম জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর গ্রামের বাড়ি বানিয়াচং উপজেলার করচা গ্রামে তাঁকে দাফন করা হবে। এছাড়াও তাঁর মৃত্যুতে আজ বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ আদালতের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। অ্যাডভোকেট সৈয়দ আফরোজ বখত ১৯৩৫ সালের ৩১ মার্চ বানিয়াচং উপজেলার করচা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা সৈয়দ খুরশেদ আলী ছিলেন একজন স্বনামধন্য শিক্ষক। তিনি প্রাইমারিতে লেখাপড়া করেন মথুরাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরে সরকারি বৃন্দাবন কলেজে ভর্তি হয়ে বামপন্থী ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে যান। ১৯৫৩ সালে এইচএসসি পাস করার পর সেখানেই স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৫৫-১৯৫৬ সেশনে কলেজের ছাত্র সংসদের জিএস নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালে বিএ পাস করেন। ১৯৬৫ সালে ঢাকা সিটি ল কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ন্যাপের (ওয়ালি-মোজাফফর) হবিগঞ্জ মহকুমার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতের ত্রিপুরায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৪ সালের ২৮ জুলাই তিনি হুসনে আরা কোরেশির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সৈয়দ আফরোজ বখতের ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর