স্টাফ রিপোর্টার : সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, মেডিক্যাল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবিগঞ্জবাসীর নিকট অভাবনীয় ছিল। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে এই দুই উপহার দিয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জকে করে দিয়েছেন উপজেলা, চলছে বাল্লা স্থলবন্দরের কাজও। জাতীয় সংসদে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হওয়ায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পূজা উদযাপন পরিষদ হবিগঞ্জ জেলার ১৪টি ইউনিটের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এমপি আবু জাহির আরো বলেন, ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর নিউফিল্ডের জনসভায় আমরা লাখো জনতার সমাগম ঘটিয়েছিলাম। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনন্দিত হয়েছিলেন। জনসভায় আমি হবিগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিকট মেডিক্যাল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা ও বাল্লা স্থলবন্দর বাস্তবায়নের দাবি জানাই। সেদিন অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। আমার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্তও দাবিগুলোর প্রতি সমর্থন জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে এসব দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিলেন। অবশেষে চারটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্য দিয়ে তিনি হবিগঞ্জবাসীকে ধন্য করেছেন। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা জগদিশ চন্দ্র মোদক, হিরেন্দ্র দত্ত, এড. রঞ্জিত দত্ত, মুকুল আচার্য্য, বীরেন্দ্র লাল রায়, সভাপতি নলিনী কান্ত রায় নিরু, সাধারণ সম্পাদক শড়খ শুভ্র রায়, এড. ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন, এড. সুধাংশু সূত্রধর, এড. দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য্য বাপু, অশোক রায় মঙ্গল, সুজিত বণিক, স্বপন লাল বণিক, কাউন্সিলর অর্পণা বালা পাল, বিশ্বজিৎ বণিক চন্দন, নিরঞ্জন সাহা নিরু, রন্টু পুরকায়স্থ, এড. কনক জ্যোতি সেন রাজু, বন বিহারী দাস, অমীয় রায়, মিহির দাশ, সুদীপ দাস, এড. অর্জুন রায়, অধ্যক্ষ পার্থ প্রতীম দাশ, এড. তুষার মোদক, কৌশিক আচার্য্য পায়েল প্রমুখ। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে পূজা উদযাপন পরিষদের জেলার নয়টি উপজেলা ও পাঁচটি পৌরসভার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।