,

এশিয়া মহাদেশের মহাগ্রাম খ্যাত বানিয়াচং গ্রাম

বানিয়াচংয়ে থানা প্রাঙ্গণে পাখিদের অভয়াশ্রম

জুয়েল চৌধুরী, বানিয়াচং থেকে ফিরে : ইতিহাস ঐতিহ্যের চারণ ভূমি এশিয়া মহাদেশের মহাগ্রাম হিসেবে খ্যাত হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বানিয়াচং গ্রাম। আর সেই গ্রামেরই মধ্যভাগে অবস্থিত বানিয়াচং থানা প্রাঙ্গণে পাখিদের অভয়াশ্রমে গড়ে তুলেছেন বানিয়াচং পুলিশ। থানার গাছে গাছে হাজার হাজার পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে থানা প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকাগুলো। আপন মমতায় ওসি এমরান হোসেন জানান, পাখিদের দেখভালসহ পাখিগুলোর পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীও থানার পাখি প্রীতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাখি দেখতে প্রতিনিয়ত দুর দুড়ান্ত থেকে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। শত কষ্টের বিনিময়ে পাখি যেন কোন প্রকার কষ্ট না পায় এ জন্য বানিয়াচং থানার সকল কর্মকর্তাকে বিনয়ের সহিত পাখির পরিচর্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারাও কাজের ফাঁকে পাখিদের দেখভাল করছেন। প্রাকৃতিক কিংবা অন্য কারনে কোন পাখির বাচ্চা বাসা থেকে মাটিতে পড়ে গেলে তাৎক্ষনিক বাচ্চাকে বাসায় পৌছে দেয়া হচ্ছে। পাখিগুলোও থানা চত্ত্বরে সুন্দর পরিবেশ পেয়ে যেন মহা-আনন্দে নেচে বেড়াচ্ছে। এখানে আশ্রয় নেয়া হরেক রকম পাখির মধ্যে রয়েছে লাল বক, সাদা বক, সামখইল, রাতচোরা, সারস, মাছরাঙা, পানি কাউর, বিভিন্ন প্রজতির ঘুঘুসহ নাম না জানা নানান রঙের প্রায় সহস্রাধিক পাখি। থানা চত্ত্বর ছাড়িয়ে গ্রামের আনাচে-কানাছে বেড়ে ওঠা বাঁশ ও গাছে গাছে সারাণ হাজার হাজার পাখিদের মিলন মেলায় মুখরিত হয়ে ওঠে গ্রামগুলো। এ কারণে অনেকেই বলছেন বানিয়াচং থানা যেন পাখির গ্রাম। ওই সীমানায় কোনো পাখি প্রবেশ করা মানে পাখিটি নিরাপদ। পাখিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন থানার প্রতিটি পাখি প্রেমিক লোক। পাখি শিকার রোধে ওসি এমরান হোসেন নিয়েছেন নানা উদ্যোগ। যে কেউ আসলে পাখিদের নয়াভিরাম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর