,

এলাকায় চরম উত্তেজনার ॥ শোকের মাতম নিহতের বাড়িতেনবীগঞ্জের কসবা গ্রামে রামদার কুপে যুবক নিহত

এম.এ.আহমদ আজাদ/উত্তম কুমার পাল হিমেল/ রাখিল হোসেন ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বহুল আলোচিত কসবা গ্রামে গতকাল শনিবার বিকালে প্রতিপক্ষের রামদার কুপে আজিজুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শোকের মাতম চলছে নিহতের বাড়িতে। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আব্দুল বাতেন খাঁন ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ নিহতের বাড়িতে ছুটে যান। নিহত আজিজুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত আব্দুল করিম এর পুত্র। ট্রিপল মার্ডারের আসামী গ্রেফতারের জেরধরেই এই নির্মম হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বহুল আলোচিত কসবা গ্রামের ফারুক আহমদ গং ও স্বপন আহমদ গংদের মধ্যে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত সংঘর্ষ, হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ খুনের ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষে একাধিক মামলা, মোকদ্দমাও রয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের প্রথম দিকে ফারুক আহমদ গংদের হামলায় কসবা গ্রামে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার বিকেলে সহকারী পরিচালক র‌্যাব-৯ কোম্পানী কমান্ডার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী কসবা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ট্রিপল মার্ডার মামলার ৩নং আসামী ফারুক আহমদ ও ছমির হোসেনকে গ্রেফতার করেন। এর জের ধরে গতকাল শনিবার বিকালে স্বপন গং পক্ষের আজিজুল ইসলাম স্থানীয় বান্দের বাজার থেকে বাড়ি যাবার পথে আটককৃত পঞ্চায়েত পক্ষের ফারুক মিয়ার ভাই ইছারসহ ৮/১০জন আজিজুলকে নাদামপুর গ্রামের পাশে আটক করে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এবং তার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে বলে জানাগেছে। পরে স্থানীয় লোকজন আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে আজিজুল ইসলামের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌছলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় নিহতের বাড়িতে কান্নার রুল। নিহতের মা কলই বিবি, বোন আফিয়া বেগম ও নীলু বেগমসহ স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভাড়ি হয়ে উঠে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আব্দুল বাতেন খাঁন ও ইনাতগঞ্জ ফাড়িঁ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এই ঘটনার জেরধরে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। তবে রির্পোট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আব্দুল বাতেন খান বলেন, ঘটনার পর পরই জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। কাউকে না পাওয়ায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকার আইনশৃংখলা রক্ষার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর