,

নবীগঞ্জের বরকতপুর গ্রামের পারভেজকে ইরানে আটকে রেখে দালাল কর্তৃক নির্যাতন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গতকাল মঙ্গলবার নবীগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকার ১ম পৃষ্টায় নবীগঞ্জে বরকতপুর গ্রামে ফারভেজ মিয়াকে তুর্কি দেশে পাঠানোর কথা বলে ইরান দেশে আটকে রেখে দালাল কর্তৃক নির্যাতন ॥ থানায় অভিযোগ দায়ের সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোছর হয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বরকতপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার মিয়ার পুত্র পারভেজ মিয়াকে তুর্কি দেশে পাঠানোর কথা বলে ইরান দেশে আটকে রেখে দালাল কর্তৃক নির্যাতন করে নির্যাতনের ছবি বাংলাদেশে পারভেজ মিয়ার মায়ের কাছে প্রেরণ করে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা আদায়ের পরও মুক্ত করে না দেওয়ায় ভুক্তভোগীর মা বরকতপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী সেফুল বেগম বাদী একই ইউনিয়নের জাহিদপুর গ্রামের মৃত মাম্মদ আলীর দুই পুত্র আবু মিয়া (৩৭) ও মহিবুর রহমান মবু (৩৫) এর বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, যে পারভেজকে প্রলোভন দেয়, তুর্কি দেশে ভাল আয় রোজগার করা যায়। সেখানে গেলে প্রচুর অর্থ রোজগার করতে পারবে। মর্মে মহিবুর রহমান মবু আশ্বাসে খুশি হয়ে আবু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে গত ২৮/০৮/২০২০ইং তারিখে ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে পারভেজকে ট্যাক্সিতে তুলে তুর্কির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় আবু মিয়া। দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকায় এ নিয়ে যে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যে প্রনোদিত। কারণ- যে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা আদৌও সত্য নয়। একটি কু-চক্রি মহলের প্ররোচনায় পড়ে আমার ও আমার পরিবারের মান সম্মান নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে ওই মিথ্যা সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে পারভেজের চাচা আফজল ও আবলাল গত প্রায় ৪ মাস পুর্বে আমার ভাই আবু মিয়াকে তুর্কি থেকে ফ্রান্স নেওয়ার জন্য ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকায় কন্টক করে। আমি ওই কন্টাক এর ৫,০০,০০০/= (পাঁচ লক্ষ) টাকা পারভেজের মা সেফুল বিবি ও আফজলের স্ত্রী আছমা বেগমের নিকট প্রায় তিনমাস পূর্বে বর্তমান মেম্বার ও আফজল এবং আবলালের ভাগিনা সাইদুর রহমান মেম্বার, খনকারিপাড়া গ্রামের শাহিন আহমদ, পূর্ব জাহিদপুর গ্রামের রহমত আলী ও চাউ মিয়া এবং দিলাওর মিয়ার সামনে ওই টাকা গুলি তাদের হাতে সমজাইয়া দেই। টাকা পরিশোধের প্রায় তিনমাস অতিবাহিত হলেও আমার ভাই আবু মিয়াকে তুর্কি থেকে ফ্রান্স নেওয়ার কোন প্রদক্ষেপ নেওয়া হয় নাই। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তারিখ করে তাকে ফ্রান্সে নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আমাদের ও তাদের গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে একাধিকবার বসে মিমাংসা করতে ব্যার্থ হই। ওই বিষয়ে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেব মর্মে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গকে আমি অবগতও করি। ওই বিষয়টি জানতে পেরে তারা আমার টাকা আত্মসাত করার হীন উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। সংগত কারণে আমি ওই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে আমিও অতি শীঘ্রই আইনের আশ্রয় নেব।
প্রতিবাদকারী
মোঃ মহিবুর রহমান মবু
পিতা-মৃতঃ মোহাম্মদ আলী
সাং পূর্ব জাহিদপুর, ৮নং সদর ইউপি,
নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর