,

সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে মাধবপুরে পিতা ও বাহুবলে পুত্র’র রোগীদের সাথে প্রতারনা

স্টাফ রির্পোটার ॥ এস.এস.সি সনদ ও ডি.এইচ.এম.এস সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে বাহুবল ও মাধবপুরে পিতা জিতু ও পুত্র কামাল ভূয়া হোমিও ডিসপেন্সারী খোলে রোগীদের সাথে প্রতারনা করে প্রসাশনের চোখে ফাকি দিয়ে রমরমা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের শাহপুর বাজারে দীর্ঘ দিন যাবত কথিত জুলহাস উদ্দিন ওরফে জিতু মিয়া ভূয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার এস.এস.সি সনদ পত্র, ডি.এইচ.এম.এস  সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে ড্রাগলাইসেন্স ও সিভিল সার্জানের অনুমতি ছাড়াই কাপ্তান হোমিও হল চিকিৎসা কেন্দ্রখুলে রোগীদের সাথে গরু মোটাতাজা করণ ভারতের নিষিদ্ধ এনার্জিপ্লাস সিরাপ, যৌন উত্তেজক ইয়াবা, ডেকাসন টেবলেট দিয়ে চিকিৎসা করে প্রতিদিন গ্রামাঞ্চলের সাধারন নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, শিশু-কিশোরের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দূর্বল রোগীকে স্বাস্থ্যবান হওয়ার জন্য গরুর মোটাতাজা করণ ভারতের নিষিদ্ধ এনার্জিপ্লাস সিরাপ, ডেকাসন টেবলেট খেয়ে চিকন লোককে মোটা হওয়ার নামে মৃত্যুর মুখে টেলে দিচ্ছেন। এসব ঔষধ খেয়ে অনেক রোগী কয়েক মাস পর লান্সে পানি, ক্যানসার সহ বিভিন্ন রোগে বিপদগামী হচ্ছে কিন্তু এসব রোগী উচ্চ পর্যায়ে ডাক্তার ও হাসপাতালে ডাক্তাররা চিকিৎসা করতে চান না। কথিত ভূয়া চিকিৎসক জুলহাস উদ্দিন ওরফে জিতু মিয়া ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করে নামের পূর্বে ডাঃ ব্যবহার করে এলাকায় দাপটের সাথে মাধবপুরে শাহপুর বাজারে কাপ্তান হোমিওহল ও তার পুত্র এস.এম কামাল বাহুবলের সাটিয়াজুরী বাজারে কামাল হোমিও ডিসন্সেসারীতে দীর্ঘ দিন যাবৎ ব্যবসা পরিচলিনা করে আসছে। অপর দিকে তার পুত্র এস.এম.কামালকে দিয়ে বাহুবল উপজেলার সাটিয়াজুরি বাজারে কামাল হোমিও ডিসপেন্সারী নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দীর্ঘ দিন যাবত প্রতারণা করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পিতার নেই যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কোন সনদ পত্র্র এরপরও পুত্র এস.এম কামালকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া অর্জন করিয়ে কথিত ভূয়া চিকিৎসক জুলহাস উদ্দিন জিতু মিয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে হোমিও চিকিৎসা পেশায় লিপ্ত এস.এম কামাল। এস.এম কামাল সাটিয়াজুরি বাজারে কামাল হোমিও ডিসপেন্সারী খুলে বসার পর পিতার চেয়ে পুত্র গ্রাম্য সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারনা করে গরুর মোটা তাজা করণ ঔষধ দিয়ে হাজার হাজার টাকার রমরমা বানিজ্য করে যাচ্ছে। এসমস্ত ভেজাল হোমিও ঔষধ খেয়ে বহু রোগী মৃত্যু ঘটেছে কিন্তু অনেকের বাড়ীতে বা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে রোগীরা। যেসব স্থানে ড্রাগ সুপার বা ভ্রাম্যমান আদালত যেতে পারে না সেই স্থান হচ্ছে মাধবপুরের শাহপুর বাজার ও বাহুবলের সাটিয়াজুরি বাজারে নির্বিঘেœ প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে প্রতারনা করে চিকিৎসা দিচ্ছে রোগীদেরকে। প্রশাসনের হাত থেকে রক্ষার জন্য হবিগঞ্জ জেলায় ১৩৫ জনের হোমিও সংগঠনের ৬৫ নম্বর সদস্য রয়েছেন কথিত ভূয়া হোমিও চিকিৎসক এস.এম কামাল কিন্তু তার পিতা এ সংগঠনের সদস্য নেই। পিতা-পুত্র-দীর্ঘদিন যাবত চাবাগানের চা-শ্রমিক থেকে শুরু করে গ্রামের আপামর নারী-পুরুষকে অপ চিকিৎসা করে গেলেও বহু রোগী জেলার দুরারোগ্য ব্যধিতে ভোগছে বলে কয়েক জন রোগী এ প্রতিনিধিকে অভিযোগ জানান। পিতা-পুত্রের প্রতারণা ব্যবসায় এলাকার কিছু সংখ্যক দালাল লোকজনকে ম্যানেজ করে এ ব্যবসাচালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে এদের কর্মচারী দিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে রোগে আরোগ্য চটকদার ভিজিটিংকার্ড, কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ভাষায় হ্যান্ডবিল, লিফলেট, বিতরণ করে আপামর নারী-পুরুষকে আকৃষ্ট করে এনে মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে ধোকা দিয়ে অপ-চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও প্রতিবাদ করার কেউ নেই। কথিত ভূয়া হোমিও চিকিৎসক জুলহাস উদ্দিন ওরফে জিতু মিয়া ও তার পুত্র এস.এম কামালকে ধরে কঠোর শাস্তি দিলে এ ধরণের প্রতারক চিকিৎসার হাত থেকে রক্ষা পাবে ভূক্ত ভোগী রোগীরা। সরকার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতারনা মূলক সকল ধরনের চিকিৎসা বন্ধের জন্য নিয়মিত তদারকি ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাচ্ছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন। এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালতের ভয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে শহর ও গ্রামাঞ্চলে হাটবাজারে ভূয়া হোমিও ডিসপেন্সারী ও কাপ্তান হোমিও হল প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার নামে ভূক্তভোগী রোগীদের সাথে প্রতারনা করে গরু মোটাতাজা করনে ভারতের নিষিদ্ধ এনার্জিপ্লাস সিরাপ, যৌন উত্তেজক ইয়াবা, ডেকাসন টেবলেট দিয়ে চিকিৎসা করছে এব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত ও ঔষধ প্রশাসন ভূয়া চিকিৎসকদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে জেলার সচেতন ভূক্তভোগী মনে করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর