,

শায়েস্তাগঞ্জে ১০ গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরে ১০ গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুর ১টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে। সংঘষ চলে প্রায় ৪ ঘন্টা ব্যাপী। আহতরা হলেন, সফর আলী (৩৭), আল আমিন (২০), দুদন মিয়া (৪০), রিপন মিয়া (২৫), মনু (৩৫), আব্দুস শহীদ (৫০), রুবেল মিয়া (২২), আব্দুল (২য় পৃষ্টায় দেখুন) আহাদ (৩৫), রুশন মিয়া (২৫), শাহিন মিয়া(২০), আব্দুল কাইয়ুম (৩০), বাবুল মিয়া(৩০), কিতাব আলী (৩৫), আইয়ূব আলী(৪০), কামাল মিয়া (৩০), কাশেম (৩০), রিপন (২২), শাহ আলম (৩০), ইসা মিয়া (৩০), দুলাল (২৫), কাজল মিয়া (৪০), শফিউল (১৮), আছকির মিয়ার (৪০)। এদের মধ্যে আইয়ুব আলী নামে একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেটে প্রেরন করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহতদেরকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদেরকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদরের এসএপি (সার্কেল) সাজ্জাদ ইবনে রায়হানের নেতুত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ৪০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও কাধানোগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় অনেকেই রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হন। প্রায় ৪ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। উভয় পক্ষ থেকে বৃষ্টির মত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় শহরের বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও লোটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চলের বড়চর, কদমতলি, তালুকহড়াই, কুতুবের চক, নিজগাও ও শহরের পূর্বাঞ্চলের বিরামচর, মহলুল সুনাম, লেনজাপাড়া, সাবাজপুর, দাউদনগর এলাকার শত শত লোক সংঘষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘষ চলাকালে শায়েস্তগঞ্জ রেলস্টেশনের উপর দিকে কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। স্টেশনে অবস্থানরত যাত্রীরা আতংকে ছিলেন। স্টেশনের কমরত লোকজন আতংকে অফিসের দরজা জানালা বন্ধ করে রখেন। স্টেশন মাষ্টার জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ঘটনায় স্টেশনের বেশ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে প্লাটফর্মের যাত্রীর বসার আসবাপত্র। যাত্রীরা আতংকে দিকবিদিক ছুটাছুটি করেছেন। কেউ কেউ ভয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মাষ্টার রুমে। শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে পৌরসভার পূর্ব লেঞ্জাপাড়ার জাহির মিয়া (২২) ও বড়চর গ্রামের জুনাইদ মিয়ার (২০) মধ্যে পূর্ব বিরোধ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যয়ে তাদের উভয়ের পক্ষ নিয়ে দুই-দল যুবকের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ ঘটনার জের ধরে আজ বুধবার আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার আশফাকুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমেদ খানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষটির সমঝোতার জন্য উভ পক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর