,

অন্যায়-অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকুন

সময় ডেস্ক ॥ রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানুল মোবারকে সিয়াম (রোজা) পালন করা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, বুদ্ধিসম্পন্ন, সুস্থ ও মুসাফির নয় এমন মুসলমান নর-নারীর ওপর ফরজ। ইসলামের মূল ৫টি রুকনের মধ্যে ‘সাওম’ অন্যতম। ‘সাওম’ শব্দের অবিধানিক অর্থÑ বিরত থাকা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়-ইবাদতের নিয়তে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো মুসলমান স্বেচ্ছায় পানাহার এবং যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত থাকার নামই সাওম। বিখ্যাত দার্শনিক ইমাম গাজ্জালি (রহ.) সাওমকে ৩ স্তরে ভাগ করেছেনÑ ১. সাধারণ মুসলমানদের রোজা: তা হচ্ছে পানাহার ও যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত থাকা; ২. সালেহীন বা পুণ্যবান বান্দাদের রোজা: এটা হচ্ছে উপরোক্ত কার্যাদি ছাড়াও রোজাদার নিজ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও ইন্দ্রীয়সমূহকে গুনাহর কাজ থেকে বিরত রাখা; ৩. সালেহীন বান্দাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিদের রোজা: তা হচ্ছে উপরোক্ত দুটি স্তর পালন করা ছাড়াও রোজাদারের নিজ মনমানসিকতা, ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-চেতনা সবকিছুকে শুধু আল্লাহ-রাসুলের (স.) দিকেই পরিচালিত করা। মূলত, শুধু পানাহার ও যৌনসম্ভোগ থেকে বিরত থাকাই রোজার উদ্দেশ্য নয়। রোজার বিধান প্রবর্তনের উদ্দেশ্য হলো- মানুষকে সকল প্রকার মিথ্যা, পাপাচার, অশ্লীলতা, অন্যায় ও সমাজবিরোধী কাজ থেকে বিরত রেখে আল্লাহ ও তার প্রিয় রাসুল (স.)-এর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়াতে শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির চূড়ান্ত সাফল্য লাভ করা। তাই রোজাদারকে সর্বোতভাবে মিথ্যা ও যাবতীয় অন্যায়-অশ্লীলতা, পাপাচার ও জুলুম অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে। খাদ্যে ভেজাল মেশানো, খাদ্যসামগ্রী গুদামজাত করা এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মূল্যে তা বিক্রি করা খুবই অন্যায় এবং এরকম গর্হিত কাজ পবিত্র মাহে রমজানের সঙ্গে খেল-তামাশারই নামান্তর। নূরনবী হযরত রাসূলে করিম (স.) বলেছেন, ‘কিছু রোজাদার আছে তাদের শুধু ক্ষুধা ও উপবাসব্রত ছাড়া আর কিছুই পালিত হয় না।’ রাসুল (স.) আরো বলেন, ‘যে রোজাদার রোজা রেখে মিথ্যা, অন্যায় ও অশ্লীলতা ত্যাগ করেনি, আল্লাহ্র কাছে তার রোজার কোনো মূল্য নেই’।


     এই বিভাগের আরো খবর