,

নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সিএনজি শ্রমিক বেলাল হত্যা মামলার আসামী রকিব ও আলমগীর কারাগারে

স্টাফ রিপোটার ॥ নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সন্ত্রাসীদের হাতে প্রকাশ্যে সিএনজি শ্রমিক বেলাল হত্যাকান্ডের মামলার আরো দু’ আসামী কারাগারে। গতকাল ওই মামলায় হবিগঞ্জের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তাদেরকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন। তারা হলেন নবীগঞ্জ পৌর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুর রকিব (৩০) ও বাউসা গ্রামের আরমান আলীর ছেলে আলমগীর মিয়া (৩২)। উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল বিকালে শহরের শেরপুর রোডস্থ মা-হোটেল ও মাইওয়ান ব্যবসা প্রতিষ্টানের সামনে দাড়ানো অবস্থায় প্রতিপক্ষ ছাত্রদল নেতা রায়েছ চৌধুরী ও সামছু মিয়া’র নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সিএনজি শ্রমিক বেলাল মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে। নির্মম এ হত্যাকান্ডে নিহতের পিতা সাবেক পত্রিকার হকার মোঃ ফারুক মিয়া বাদী হয়ে বিগত ২৮ এপ্রিল নবীগঞ্জ থানায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ইতিপুর্বে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং ৭ জন আসামী আদালতে আত্মসর্মপন করলে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। বাকী ১৯ জন আসামী পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছে। এর মধ্যে নোয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুর রকিব ও বাউসা ইউপির বাউসা গ্রামের আরমান আলীর ছেলে আলমগীর মিয়া গতকাল সোমবার সকালে হবিগঞ্জে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা বেগমের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের কৌশলীদের বক্তব্য শুনে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। তবে এখনও বেলাল হত্যার প্রধান আসামীসহ ১৭ জন পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারে নানা স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে সুত্রে জানাগেছে। এদিকে সিএনজি শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বেলাল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। নিহত বেলাল মিয়া পৌর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রামের সিএনজি ম্যানাজার ও সাবেক হকার ফারুক মিয়ার ছেলে এবং নবীগঞ্জ সংবাদপত্র এজেন্ট মোশাহিদ আলী ও মিয়াধন মিয়ার ভাতিজা। ঘটনার ৫৬ দিন অতিবাহিত হলেও নিহতের পরিবারে এখনও চলছে কান্নার রুল। গতকাল সন্ধ্যায় নিহতের বাড়িতে গেলে নিহত বেলালের মা ও সদ্য বিবাহিতা বিধবা স্ত্রী’র আহাজারিতে এক হৃদয় বিদায়ক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে। ছেলেকে ফিরে পেতে মা ও স্বামীকে ফিরে পেতে স্ত্রী’র বিলাপ চলছে নিহতের বাড়িতে। এছাড়া অপর আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।


     এই বিভাগের আরো খবর