,

বিচার করা যাবে, অপমান করার অধিকার নেই

সময় ডেস্ক ॥ গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহর বিরুদ্ধে ফের আদালত অবমাননার মামলা দায়েরের আবেদনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ‘আমরা রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা’ নামে একটি সংগঠন এ প্রতিবাদ জানায়। বিবৃতিতে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ডা. জাফরউল্লাহর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়েরের আবেদনে আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছি। একজন মুক্তিযোদ্ধা খুন করলে তার ফাঁসি হতে পারে, চুরি করলে তার বিচার হতে পারে, কিন্তু বাক-স্বাধীনতার পক্ষে বিবৃতি দেয়ায় জাফরউল্লাহর মতো বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকারের খাঁচায় আবদ্ধ করে অপমান করার অধিকার কোন বিচারকের নেই। বিবৃতিতে তারা বলেন, যে কোন আদালতের গঠনমূলক সমালোচনা সেই আদালতকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলে। কিন্তু যে বিচারকগণ আদালতের রায়ের মাধ্যমে জাফরউল্লাহর মতো মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করেছেন আসলে তারা মহান মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করেছেন। আমরা রাজাকারের বিচারের আদালতে কোন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানহানি দেখতে চাই না। বিবৃতিতে এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, যেসব নামধারী মুক্তিযোদ্ধা জাফরউল্লাহ’র মতো মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছেন তাদের অসৎ উদ্দেশ্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্ত করার সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, কর্নেল (অব.) মনীষ দেওয়ান, ফারুক-ই আজম বীরপ্রতীক, নঈম জাহাঙ্গীর, মিজানুর রহমান বীরপ্রতীক, মেজর (অব.) আক্তার আহমেদ বীরপ্রতীক, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান, মেজর (অব.) মঞ্জুর আহমেদ বীরপ্রতীক, মেজর (অব.) মনিবুর রহমান, ফতেহ আলী চৌধুরী, ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বীরপ্রতীক, হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, এড. ফজলুর রহমান, শাহ মো. আবু জাফর, কমরেড খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, কর্নেল (অব.) জয়নুল আবদিন, মেজর (অব.) আসাদুজ্জামান, শফিউজ্জামান খোকন, আবেদুর রহমান, সাদেক আহমেদ খান, সৈয়দ আবুল বাশার, হাজী আবুল হোসেন, প্রকৌশলী আবদুল হালিম, মনিরুল ইসলাম ইউসুফ, শহীদ বাবলু, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী ড. শাহ আলম, মোকছেদ আলী মঙ্গোলিয়া, মোজাফফর আহমেদ, মহিউদ্দিন আহমেদ শাহজাহান, আবদুল মজিদ, সহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, নুরুল ইসলাম, নুরুল আমিন, আবু হানিফ, এএসএম মোস্তফা কামাল, এইচ আর সিদ্দিকী সাজু, আবদুল জব্বার, রেজাউল করিম, শাহাবুদ্দিন রেজা, খালেদা আহমেদ, আবদুল হাকিম, আবদুল আহাদ, আতিকুর রহমান, আবদুল জলিল, আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া রাজা, এড. আবুবকর সিদ্দিকী, প্রফেসর আবদুল কাইয়ুম, হাজী আফসারউদ্দিন, হারুনুর রশিদ, এড, রফিকুল ইসলাম, মহসিন উদ্দিন দুলাল, মহসিন সরকার, সৈয়দ একরামুল হক, চৌধুরী আবু তালেব, ওয়ালীউল্লাহ বাবলু, মহসিন আলী খান, এড. গোলাম মোস্তফা, আই্?য়ুব আলী রেজা, রফিকুল হক নান্টু, মো. রফিক, এমএ মালেক খান, গিয়াসউদ্দিন মৃধা, হান্নান পলাশ মোল্লা, ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুন কবির, কাজী আমিনুর রহমান, কাজী নাসির আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, আবদুল মান্নান, আবদুল লতিফ, এমএ খালেক, মাসুক আহমেদ, কমান্ডার আফজাল হোসেন, মো. কুতুবউদ্দিন, গোলাম হোসেন, সিরাজুল ইসলাম বেগ, শাহাদাত হোসেন মানিক, সামাদ মোল্লা, মিজানউদ্দিন আহমেদ, মো. নাসিম, মঞ্জুর হোসেন মালু, মো. মোতালেব, ওয়াহেদ আলী, সালেহ মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন, নূর হোসেন মোল্লা, আক্কাস আলী, কামরুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান মিন্টু, খালেকুজ্জামান ফারুক, হারিসউদ্দিন, সৈয়দ হারুনুর রশিদ, আক্তার ফারুক তোতা, মোশারফ হোসেন, আতাউর রহমান মিন্টু, আবু তাহের, দেলোয়ার হোসেন ও ইয়াদ আলী।


     এই বিভাগের আরো খবর