,

বিধি মোতাবেক ব্যবস্থ্যা গ্রহনের জন্য এমপির নির্দেশনবীগঞ্জের আলমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

ষ্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের আলমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপনে ম্যানেজিং কমিঠি গঠন, জোরপূর্বক প্রাইভেট পড়ানোসহ বিস্তর অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিঠির সাবেক সদস্য ফখরুল ইসলামসহ ওই এলাকার ৬৩ জন সচেতন জনতা। এমপি বিষয়টি বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্যা গ্রহনের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ ও এলাবাসীসূত্রে জানাযায়, উপজেলার উল্লেখিত সরকারী স্কুলে গৌতম কুমার প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদানের পর থেকেই শুরু করেন নানান অনিয়ম ও দূর্নীতি। ২০১১ থেকে ২০১৩ইং পর্যন্ত ২ বছর মেয়াদী কমিঠি গঠনের পর ওই কমিঠির মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে যাবার কারনে সাবেক সভাপতির সাথে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে নতুন কমিঠি গঠন করেন যা মেনে নিতে পারেননি এলাকাবাসী। স্কুলের ভূমি দাতা হিসেবে ২ জন সদস্যের নাম মনিটরিং বোর্ড ও দলিলে উল্লেখ থাকলেও বিদ্যালয়ের দেয়ালে শুধু মদরিছ মিয়ার নাম লিখা হয়েছে। ইচ্ছে করে বিদ্যালয়ের অপর ভূমি দাতা রাজিয়া বেগমের নাম লিখা হয়নি। স্কুলের নামে আসা সরকারী বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছে বর্তমান প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমারের বিরুদ্ধে। এছাড়া প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে তিনি ৩য় শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র/ছাত্রীদেরকে জোরপূর্বক প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করারও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে খারপ আচরণ তো নিত্য নৈমত্যিক ব্যাপার। এছাড়া এলাবাসী আরো জানান, তিনি স্কুলে যোগদানের পর গাইড বই বিক্রিসহ নানান ধরনের অনিয়ম করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সায়মা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত ২৮ জুলাই অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করেছেন এবং বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। তিনি আরো জানান, আগামী রবিবার এ ব্যাপারে সিদ্ধন্ত নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর