,

নবীগঞ্জের একটি কমিউনিটি ক্লিনিক যেন গো-শালা ॥ জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকিতে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের একটি কমিউনিটি ক্লিনিক গো-শালায় পরিণত হয়েছে। গরু ব্যবসায়ীরা কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে গরু রাখার কারনে ক্লিনিকটির আশ-পাশের পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষন হচেছ। ক্লিনিকে এসে রোগীরা অস্বস্থিবোধ করেন দুর্গন্ধের কারণে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ সদর ইউপি’র পশ্চিম জাহিদপুরস্থ কমিউনিটি ক্লিনিকটি স্থাপনের জন্য ওই গ্রামের মৃত আলহাজ্ব চাঁদ মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ শতাংশ ভূমি দান করা হয় প্রায় ১২ বছর আগে। গত ২ বছর আগে সরকারী অর্থায়নে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর প্রায় ৪ মাস পূর্বে উদ্বোধন করা হয়। এখানে ২ জন স্টাফও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ক্লিনিকটি স্থানীয় জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। কিন্তু ওই গ্রামের ইয়াওর মিয়ার পুত্র গরু ব্যবসায়ী ফজলু মিয়া ও তুহিন মিয়া ক্লিনিকের সামনে গরু রাখার কারনে গরুর পয়ঃ-প্রণালীতে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া ওই ইয়াওর মিয়ার পরিবারের ব্যবহৃত একটি খোলা পায়খানাও ক্লিনিক সংলগ্ন হওয়ায় জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। ক্লিনিকের পক্ষ থেকে বার বার আপত্তি দেওয়া সত্বেও কোন কর্ণপাত করছেনা ইয়াওর মিয়ার পরিবার। এ ব্যপারে উল্লেখিত ক্লিনিকের সিএইচসিপি রুবি দেবের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ময়লা দুর্গন্ধের কারনে ক্লিনিকের ১টি জানালা খোলা সম্ভব হচ্ছেনা। রোগীরা ক্লিনিকে এসে অস্বস্থিবোধ করেন। পশ্চিম জাহিদপুরের ইয়াওর মিয়া জানান, ক্লিনিক সংলগ্ন তার নিজেরও ভূমি রয়েছে। তার গরু ব্যবসায়ী পুত্ররা তাদের ভূমিতেই গরু রাখে। এতে পরিবেশ দূষন হচ্ছে প্রশ্ন করলে তিনি কিছুই করার নেই বলে জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর