,

নবীগঞ্জে সমুজের নেতৃত্বে হামলায় আহত ইলিয়াছের মৃত্যু আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক

স্টাপ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের বাউসা ইউনিয়নের হরিধরপুর গ্রামে গত ১২ জুলাই দুপুর ২ ঘটিকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত বিশিষ্ট মুরুব্বি সমাজ সেবক ইলিয়াছ মিয়া (৬২) প্রায় ২৩ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গতকাল বুধবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। সুত্রে জানা যায়, হরিধরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র সুফিয়ান দীর্ঘদিন ধরে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছিল। গত কিছুদিন পূর্বে একটি চুরির ঘটনায় সুফিয়ান কে আটক করা হলে গ্রামের মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সমন্বয়ে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সালিশে ইলিয়াছ মিয়া সুফিয়ানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিলে সুফিয়ান ক্ষিপ্ত হয়ে ইলিয়াছ মিয়া ও তার ছেলেদের হত্যার হুমকি দেয়। পরে গত ১২ জুলাই ইলিয়াছ মিয়ার ছেলে কাশেম মিয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে হবিব উল্লাহর ছেলে সাইদুর রহমান সমুজের নেতৃত্বে সুফিয়ান, শোয়েব, হামিদ, মামদ, মিলাদসহ ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রসী মিলে রামদা, ফিকলসহ দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে হামলা করে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। এ খবর শুনে কাশেমের বাবা ইলিয়াছ মিয়া ও তার ভাই জয়নাল মিয়া তাকে উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপরও হামলা চালায় এতে তারাও গুরুতর আহত হয়। এসময় ইলিয়াছ মিয়া ও জয়নালের পেটের মধ্যে ফিকল দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রসীরা। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তাদেরকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। এ ঘটনায় ১২ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর সমুজসহ কয়েক আসামী গ্রেফতার হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। সিলেট হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েন ইলিয়াছ, কাশেম ও জয়নাল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার বিকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ইলিয়াছ মিয়া। অপর আহত কাশেম ও জয়নালের অবস্থা আশংকাজনক বলেও জানা গেছে। অপরদিকে এ প্রতিনিধির সাথে আলাপ কালে মুছা জানান, মামলা করে বিপাকে পড়েছেন একই গ্রামের ইলিয়াছ মিয়ার পুত্র মুসা। বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীসহ তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে সমুজ।


     এই বিভাগের আরো খবর