,

বানিয়াচংয়ের দৌলতপুর গ্রামের মানুষকে হয়রানি থেকে বাঁচাতেপ্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,আইজিপি,ডিআইজি পুলিশ সুপার ও ওসি বরাবরে আবেদন

এম.এ আহমদ আজাদ ॥ বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের ১০ হাজার লোককে পুলিশ হয়রানি থেকে বাঁচানোর আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, ডিআইজি ও হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার, ওসি নবীগঞ্জ থানা ও বানিয়াচং থানার ওসি বরাবরে একটি আবেদন করেছেন দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্ধা কেন্দ্রীয় আওয়ামী ওলামালীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান মিয়াজী। আবেদন সূত্রে জানা যায়, গত ১০ আগষ্ট নবীগঞ্জের সীমান্তবর্তী চৌকিগ্রামের সঙ্গে বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের লোকের পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে প্রায় ১০/১৫জন লোক আহত হয়। পরে গুরুতর আহত চয়ন দাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ দিন পর মৃত্যূ বরণ করে। চৌকি গ্রামের নিহত চয়ন দাশের আত্বীয় স্বজনরা দৌলতপুর গ্রামের ১২ জনকে এজাহারভূক্ত আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এতে গং অনেকের নাম রাখা হয়। মামলা নং ১১ তারিখ ১৪/০৮/২০১৫ইং উক্ত মামলার কারণে প্রতিদিনই দৌলতপুর গ্রামে পুলিশ অভিযান দিচ্ছে আসামী ধরার জন্য। এতে অজ্ঞাতনামা আসামীর ভয়ে দৌলতপুর গ্রামের প্রায় ১০ হাজার নারী পুরুষ গ্রেফতার আতংকে বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে গ্রামের দোকানপাটসহ সর্বত্র দেখা দেয় শূন্যতা। দৌলতপুর গ্রামের চকেরবাজারের ব্যবসায়ীরা সব পালিয়ে যাওয়ার ফলে শূন্যতা দেখা দেয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এজাহার ভুক্ত আসামী ছাড়া নিরহ গ্রামবাসীকে হয়রানি না করার জন্য গতকাল ২৪ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, ডিআইজি ও হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার, ওসি নবীগঞ্জ থানা ও বানিয়াচং থানার ওসি বরাবরে এব্যাপারে একটি আবেদন করেছেন দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্ধা কেন্দ্রীয় আওয়ামী ওলামালীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান মিয়াজী ওরফে সাহেদ আলী মান্না। তিনি বলেন আমি গ্রামবাসীর পক্ষে আবেদন করছি যে যাতে করে নিরহ মানুষ হয়রানির স্বীকার না হয়। তাই আমি বিষয়টি লিখিত ভাবে বিভিন্ন দপ্তরে জানাচ্ছি।


     এই বিভাগের আরো খবর