,

বাহুবল কলেজকে জাতীয়করণ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ১কি: দীর্ঘ মানববন্ধন

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল কলেজকে জাতীয়করণ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কে ছাত্র-জনতা প্রায় ১কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন করেছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা সদরস্থ কলেজের সম্মুখে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাহুবল উপজেলাবাসীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বাহুবল কলেজ, দীননাথ ইনস্টিটিউশন, ছদরুল হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও পুটিজুরী এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সমাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। স্মরণকালের এ দীর্ঘ মানববন্ধন শেষে ছাত্র-জনতার ঢল মিছিল সহকারে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে পথসভায় মিলিত হয়। পথ সভায় বক্তারা, বাহুবল কলেজকে জাতীয়করণ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেয়ার অপচেষ্টার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামছুন্নাহার পারভীনের তীব্র সমালোচনা করেন। পরে নেতৃবৃন্দ সহস্রাধিক গণস্বাক্ষর সম্বলিত শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে লিখিত স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রেরণ করেন। বর্তমান সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি উপজেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের বিভিন্ন তথ্যাদি সংগ্রহ করছে। এ লক্ষ্যে গত ১৭ আগস্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এসএম বশীর উল্লাহ স্বাক্ষরিত একটি পত্র জেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছে প্রেরণ করেন। পত্রে উপজেলা সদরের মান সম্পন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি পরদিন ১৮ আগস্ট অধিদপ্তরে প্রেরণের অনুরোধ করা হয়। উক্ত পত্রের অনুলিপি সকল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেও প্রদান করা হয়। এ প্রেক্ষিতে বাহুবল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামছুন্নাহার পারভীন উক্ত তথ্য প্রেরণের নির্ধারিত ফরম বাহুবল সদরস্থ দীননাথ ইনস্টিটিউশন ও উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে প্রতিষ্ঠিত একটি কলেজকে সরবরাহ করেন। বিষয়টি জানা জানি হলে ১৮ আগস্ট দুপুরে বাহুবল সদর থেকে মাত্র ৮০০ মিটার দূরে অবস্থিত বাহুবল কলেজ কর্তৃপক্ষ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তথ্য দিতে টালবাহানা করে। পরবর্তীতে নানা নাটকীয়তার পর বাহুবল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামছুন্নাহার পারভীন বাহুবল কলেজের পাশাপাশি অপর একটি কলেজের তথ্য প্রেরণ করেন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের মাঝে জানা জানি হলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় লোকজন “বাহুবল কলেজ” জাতীয়করণের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠে।


     এই বিভাগের আরো খবর