স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার লহরছপুর গ্রামে নদীতে গোসল করতে গিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষিতা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মেম্বার মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আশংকাজনক অবস্থায় ওই শিশুকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। ওই শিশুর পিতা আলী আহমেদ জানান, তার শিশু লহরছপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত মঙ্গলবার স্কুল থেকে এসে বিকাল ৩টার সময় স্থানীয় শাখা বরাক নদীতে গোসল করতে গেলে চুনারুঘাট সদরের কওমী মাদ্রাসার চাকুরীচ্যুত শিক্ষক লহরছপুর গ্রামের আব্দুস সমেদের লম্পট পুত্র আব্দুল করিম (২৭) পানিতে নেমে ওই ছাত্রীকে ঝাপটে ধরে পরবর্তীতে পাড়ে তুলে এনে ধর্ষণ করে। ওই শিশুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে লম্পট করিম পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করে লোকজন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মেম্বার মোতাব্বির হোসেন মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এমনকি মামলা না করার জন্য ওই শিশুর পরিবারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই শিশু যন্ত্রনায় কাতারাচ্ছে। ডাক্তার দেবাশীষ দাশ জানান, ধর্ষণের ফলে ওই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।