,

নবীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেগমপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট মামলা

রাকিল হোসেন ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের বেগমপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আব্দুল আজিজ ও সিতার মিয়ার লোকজনের মধ্যে গত রবিবার সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে উভয় পক্ষের ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরো ৪ শতাধীক লোকদের আসামী করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই আব্দুল আজিজ সহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জে আজিজ বাহিনীর তান্ডবে গতকাল রবিবার বিকালে বেগমপুর গ্রামে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কমপক্ষে ৬৭ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করেছে। এ সময় আজিজ বাহিনীর প্রধান আব্দুল আজিজসহ উভয় পক্ষের ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভয়াবহ এ সংঘর্ষে থানার দারোগা, কনস্টেবলসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে উভয় পক্ষের ২০/২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো দু’শতাধিক লোকদের আসামী করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে। আহতদেরকে সিলেট, হবিগঞ্জ ও নবীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট লেখা পযন্ত পুরুষ শুন্য এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিযনের বেগমপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ ও সিতার মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরমধ্যে প্রভাবশালী আব্দুল আজিজ গড়ে তোলে আজিজ বাহিনী। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ ভীত সন্তন্ত্র। নিরীহ লোকদের উপর নানা অত্যাচার নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলতে সাহস পায় না। গতকাল রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে সিতার মিয়ার পরে মুজিবুর রহমান একটি ইট বুঝাই ঠেলাগাড়ী নিয়ে আব্দুল আজিজ পরে আব্দুল্লাহ মিয়ার বাড়ির উপর দিয়ে যাওয়ার পথে তাদের সাথে বাদানুবাদ হয়। এরজের ধরে বিকাল ৫টার দিকে আব্দুল আজিজ তার লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষ সিতার মিয়ার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা কালে উত্তেজিত লোকজন পুলিশের উপর হামলা করে। মুহুর্তের মধ্যে বেগমপুর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ প্রায় শর্টগানের শতাধিক রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করেছে। হামলা, সংর্ঘষ এবং পুলিশের ছুরা গুলিতে পুলিশের দারোগা, ৩ কনস্টেবলসহ প্রায় অর্ধ শতাধিত লোক আহত হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আব্দুল বাতেন খানেঁর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং উভয় পরে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আহত সিতার মিয়া (৩০), জয়নাল আবেদীন (৩০), সিরাজুল ইসলাম (৫৫)কে পুলিশের তত্ত্বাবধানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। অপর গ্রেফতারকৃত আব্দুল আজিজ, লুৎফুর রহমান, সিপুতুর রহমান, শেখ সাদী ও সফিকুল ইসলাম থানা হাজতে আটক রয়েছে। ব্যাপারে থানার অফিসার ইনর্চাজ জানান, ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা কালে লোকজন পুলিশের উপর হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে উভয় পরে ৮ জনকে গ্রেফতার করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।


     এই বিভাগের আরো খবর