,

ইনাতগঞ্জে হাতুড়ে ডাক্তার অজয় চক্রবর্তীর অপচিকিৎসায় অতিষ্ট এলাকাবাসী

আনোয়ার হোসেন মিঠু ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ৩ নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইনাতগঞ্জ বাজারে হাতুড়ে ডাক্তার অজয় চক্রবর্তীর অপচিকিৎসায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। বিশেষ করে অসহায় গরীব রোগীরা কম টাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রতিনি য়ত পড়ছেন বিপাকে। কোন কোন সময় তার অপচিকিৎসায় রোগীর অবস্থা বেগতিক হলে পাঠাতে হয় নবীগঞ্জ সদর হাসপাতালে কিম্বা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার প্রবাসী এলাকা হিসেবে অধ্যুসিত ইনাতগঞ্জ বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চেম্বার খুলে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে গরীব ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসা করে যাচেছ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা থেকে আগত অজয় চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি। গরীব অসহায় মানুষজন বিনা ভিজিটে ডাক্তার দেখানোর সুযোগ নিতে গিয়ে পড়েন বিপাকে। হাতুড়ে ডাক্তার অজয় বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন পুশ করে রোগীদের কাছে দাবী করে বসে ৫’শ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্ষন্ত টাকা না দিলে রোগীর আত্বীয়-স্বজনদের সাথে খারাপ আচরণসহ ব্যবস্থাপত্র আটকে রাখে। সম্প্রতি ইনাতগঞ্জের ইসুবপুর গ্রামের ইস্রাইল মিয়া তার ৯ মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রী ঝুনু বেগমের চিকিৎসার জন্য অজয় চক্রবর্তীর কাছে গেলে তিনি ইস্রাইল মিয়ার বাড়িতে যান এবং একে একে ৩ টি ইনজেকশন পুশ করেন। সাথে আরো কিছু ঔষধ সেবন করান। ইনজেকশন পুশ ও ঔষধ সেবনের পর পর রোগীর অবস্থা খারাপ হলে গরীব অসহায় ইস্রাইল মিয়া অপর পল্লী চিকিৎসক হারু চন্দন রায়ের কাছে গেলে তিনি ব্যবস্থাপত্র না দেখতে চান। ব্যবস্থাপত্র না পেয়ে তিনি নিজে চিকিৎসা না করে কিছু টাকা দিয়ে ঝুনু বেগমকে নবীগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নবীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে অসহায় ইস্রাইল মিয়া ইনাতগঞ্জ পল্লী চিকিৎসক সমিতির নেতাদের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছেন বলে জানাগেছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইনাতগঞ্জ এলাকার এক যুবক জানান, হাতুড়ে ডাক্তার অজয় চক্রবর্তী নিজেকে সাবেক রেল মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের আত্বীয় বলেও ভূয়া পরিচয় প্রকাশ করে থাকেন অনেকের কাছে। যাতে গরীব ও অসহায় মানুষ কখনো তার বিরোদ্ধে কিছু বলার সাহস না পায়। এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ইস্রাইল মিয়ার স্ত্রী ঝুনু বেগমের ঘটনা সর্ম্পকে স্থানীয় মেম্বার ও ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বলেন ঘটনাটি সত্য। এছাড়া অজয় চক্রবর্তীর বেশ কয়েকজন দালালও রয়েছে বলে জানাগেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর